ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর রমনা পার্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২৪

ইট-পাথরে শহরে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে ছুটির দিনে অনেকেই ভিড় করেছেন রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রমনা পার্কে। যান্ত্রিক কোলাহলের মধ্যে পার্কের চোখ জুড়ানো সবুজ মুগ্ধ করে সবাইকে। সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত রাজধানীর অন্যতম এ বিনোদন কেন্দ্রটি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সরেজমিনে পার্কে দেখা যায়, সবুজে ঘেরা রমনা পার্কজুড়েই রয়েছে মানুষের পদচারণা। কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে, কেউ এসেছেন প্রিয়জনের সঙ্গে খোশগল্প করতে। অনেকেই আবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন। সব বয়সী মানুষের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল প্রকৃতি প্রেমীদের আনাগোনাও।

ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর রমনা পার্ক

রমনা পার্কের বিশেষ সৌন্দর্য এখন লেকের দুই পাড়ে হাঁটার জন্য ডেক। কাঠের পাটাতনে হাঁটার এ জায়গায় দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বেশিরভাগ মানুষ এখানে ছবি তোলার জন্য ভিড় করছেন, কেউ কেউ দাঁড়িয়ে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

রমনা পার্কে কথা হলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা বোরহান রাব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, ‘একটা সময় রমনা পার্কে নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। এখন চাকরি জীবনে এসে খুব বেশি আসা হয় না। খালাতো ভাই গ্রাম থেকে এসেছেন তাই তাকে নিয়ে এসেছি। আগের চেয়ে পার্কটি সুন্দর ও পরিপাটি। হাঁটা চলার পাশাপাশি বসার পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।

ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর রমনা পার্ক

পার্কের নারী অঙ্গনে পরিবারসহ আড্ডা দিচ্ছিলেন শায়েলা আক্তার। মগবাজারের বাসিন্দা শায়েলা বলেন, সাংসারিক কাজ আর বাচ্চাদের পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকতে হয় সপ্তাহজুড়ে। এখানে বাচ্চারা খেলাধুলা, ঘোরাঘুরি করতে পারে। তাই প্রতি মাসে দুয়েকবার আসা হয়।

শুধু দর্শনার্থী নয়, রমনা পার্কে সকাল-বিকেল ব্যায়াম করতে আসেন আশপাশের বাসিন্দারা। বিকেলে ব্যায়াম করতে আসা নূরুল হক নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি সপ্তাহে প্রায় তিন থেকে চারদিন এখানে ব্যায়াম করতে আসি। শুক্রবার মানুষ বেশি থাকায় দৌড়াতে কিছুটা কষ্ট হয়। নিরিবিলি এমন পরিবেশে সময় কাটাতে ভালোই লাগে।

ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর রমনা পার্ক

রমনা পার্কের আধুনিকায়নে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সংস্কারের পার্কটির সৌন্দর্য বেড়ে যায়। নতুন ওয়াকওয়ে ও বসার স্থান যুক্ত হয়। নতুন নতুন উদ্ভিদ ও বৃক্ষরোপণ করা হয়। দর্শনার্থীদের আনাগোনাও বাড়তে থাকে।

আরএএস/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।