পরিবেশমন্ত্রী
বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি পুনর্বিবেচনা করা উচিত
বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করার বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, এটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, এটি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে একলাফে ১০০ টাকা করা ঠিক হয়নি বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে নিজের মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি একলাফে ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা হয়েছে। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
আরও পড়ুন
উত্তরে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এখানে রাজস্ব আদায়ের একটি বিষয় আছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের টার্গেট দিয়ে থাকে। সেজন্য বাড়ানো হয়েছে। তবে আমরা এটা দেখবো।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের পরিবেশ ভালো না। এ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে, আমরা দেখবো।
এর আগে মন্ত্রী জানান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনার ৭৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
সাবের হোসেন বলেন, নতুন মন্ত্রিসভার শপথ নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর আমরা ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৮টি কর্মসূচি ছিল। তারমধ্যে ২২টি কর্মসূচির শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে, চারটি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে এবং দুটি কর্মসূচির বাস্তবায়ন হয়নি।
পরিবেশমন্ত্রী জানান, ইটভাটার মালিকদের সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে ৭ হাজার ৯০০টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার মধ্যে ৪ হাজার ৬০০টি অবৈধ, কারণ তাদের আমরা কোনো ছাড়পত্র দেইনি।
সাবের হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০০টি ইটভাটা রয়েছে যারা পুরাতন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইট তৈরি করছে। এসব ইটভাটা নিয়ে আমরা কাজ করবো। যারা সনাতন পদ্ধতিতে ইট প্রস্তুত করছে তাদের ব্লকে নিয়ে যাওয়াই স্থায়ী সমাধান।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব ফারহিনা আহমেদ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ২৮টি কর্মসূচির বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
এমএএস/এমএইচআর/এএসএম