নজরদারির অভাবে প্রশাসনে লাগাম ছাড়াচ্ছে দুর্নীতি

মাসুদ রানা
মাসুদ রানা মাসুদ রানা , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২৪

প্রশাসনের দুর্নীতি এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি মূলত এ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আমলারা জানিয়েছেন, প্রশাসনে এখন দুর্নীতি ব‌্যাপক আকার ধারণ করেছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে যথেষ্ট বিধি-বিধান থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন নেই। অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কোনো রকম তদারকি নেই। নজরদারির অভাবে প্রশাসনের সব স্তরে লাগাম ছাড়াচ্ছে দুর্নীতি।

‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষকে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। এমন কোনো সেক্টর আপনি বের করেন যেখানে সেবা গ্রহীতা সেবাটা পাচ্ছেন অতিরিক্ত খরচ না করে। সব ক্ষেত্রে আমরা নজরদারির চরম দুর্বলতা দেখছি। কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ নেই।’-আবু আলম মো. শহীদ খান, সাবেক সিনিয়র সচিব

যাদের দুর্নীতি সামনে আসছে, তারা অনেক দিন ধরেই এটা করছেন। নজরদারি না থাকায় এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের তথ্য এসেছে। এমন বহু সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন; নজরদারি না থাকা কিংবা দুর্নীতি রোধে বিধি-বিধান বাস্তবায়নের আন্তরিক পদক্ষেপ না থাকায় এরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।

তারা আরও বলছেন, এখন শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। বড় অপরাধ করেও সামান্য শাস্তিতে পার পেয়ে যাচ্ছেন। দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তির নজির নেই। সব মিলিয়ে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার অনুকূল পরিবেশ এখন প্রশাসনে।

সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ইতোমধ্যে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ কার্যকর করে সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সম্পদ হিসাব নিশ্চিতের জন‌্য গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

দুর্নীতি রোধে বিধি-বিধান ও শাস্তি

‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য সরকারি কর্মচারীদের লঘু ও গুরুদণ্ড দেওয়া হয়। তিরস্কার, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা, দায়িত্বে অবহেলার কারণে সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা অংশবিশেষ আদায়, বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করা হচ্ছে লঘুদণ্ড।

‘আসলে আমরা এখন দুর্নীতিটাকে সবাই মেনে নিয়েছি। এটি এখন স্বাভাবিক যে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে আমাকে ঘুস দিতে হবে, এসিল্যান্ডকে ঘুস দিতে হবে, কাস্টমসে ঘুস দিতে হবে, থানায় গেলে ঘুস দিতে হবে। এটিকে আমরা পাবলিক অ্যাকসেপটেন্সের জায়গায় নিয়ে গেছি। এজন্য তো আমরা কারো শাস্তি দেখছি না।’- মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক সচিব

অন্যদিকে গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে- নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, চাকরি থেকে অপসারণ ও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।

বিধিমালায় ‘দুর্নীতি’র বিষয়ে বলা হয়েছে- কোনো কর্মচারী যদি দুর্নীতি পরায়ণ হন বা নিম্ন বর্ণিত কারণে দুর্নীতি পরায়ণ বলে যুক্তিসঙ্গতভাবে বিবেচিত হন- তিনি বা তার ওপর নির্ভরশীল বা অন্য যেকোনো ব্যক্তি তার মাধ্যমে বা তার পক্ষে যদি তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো অর্থ সম্পদ বা অন্য কোনো সম্পত্তির (যার যুক্তিসঙ্গত হিসাব দিতে তিনি অক্ষম) অধিকারী হন। বা তিনি প্রকাশ্য আয়ের সঙ্গে সংহতিবিহীন জীবন যাপন করেন বা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি পরায়ণতার অব্যাহত কুখ্যাতি থাকে। এসব ক্ষেত্রে ওই কর্মচারীকে শাস্তি দেওয়া যাবে।

এক্ষেত্রে দুর্নীতির জন্য যে কোনো দণ্ড, তবে ওই অপরাধের পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ দণ্ড ছাড়া যে কোনো দণ্ড দেয়া যাবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক অবসর বা চাকরিচ্যুতির মতো শাস্তি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মচারীরা বড় বড় অপরাধ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও বিগত বছরগুলোতে এমন শাস্তি দেওয়ার নজির নেই।

‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেয়ার নিয়ম রয়েছে। সেটারও বাস্তবায়ন নেই। বছরের পর বছর সম্পদের হিসাব না দেওয়ার জন্য সরকারি কর্মচারীদের কোনো জবাবদিহিতাও নেই।

নজরদারির অভাব

দুর্নীতি রোধে আইন ও বিধি-বিধানের কমতি নেই বলে মনে করেন কোনো কোনো কর্মকর্তা ও সাবেক আমলা। তারা বলছেন, যা আছে তা শক্তভাবে কার্যকরের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। মূল সমস্যা নজরদারিতে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় পরিস্থিতি বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

‘দুর্নীতি তো সবাই করে না। একটা অফিসের সবাই কি দুর্নীতিবাজ? হাতেগোনা কয়েকজন করে। ওই হাতেগোনা কয়েকজনের জন্য বাকি সবাই বিব্রত হয়।’ মো. মাহবুব হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, ‘বাংলায় একটি কথা আছে- বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। আইন যেটা আছে সেটা ঠিক আছে, আইনটা প্রয়োগ না করলে লাভ নেই। আইনটা বাস্তবায়ন করতে হবে। যাদের মনিটরিং করার কথা, এগুলো দেখভাল করার কথা, তারা যদি চোখ বন্ধ করে রাখেন, কানে তুলা দিয়ে রাখেন- তবে তো এতে কাজ হবে না।’

‘প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলে যাচ্ছেন। সরকারের যে মূল লক্ষ্য ছিল তার প্রধান দুটি ছিল দুর্নীতি ও মাদক নির্মূল। প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা, সেটি পালন হয় না কেন? সেটি প্রতিপালন হয় না কেন? সেটি বের করতে হবে, মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সরকারের দুর্বলতার জন্য রাষ্ট্রীয় ইনস্টিটিউশনগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না কিংবা রাষ্ট্রীয় ইনস্টিটিউশনগুলোকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক এই সচিব বলেন, ‘এখন বড় বড় দুর্নীতি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যে কোনো সেবা নিতে গেলে মানুষের অভিযোগ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষকে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। এমন কোনো সেক্টর আপনি বের করেন যেখানে সেবা গ্রহীতা সেবাটা পাচ্ছেন অতিরিক্ত খরচ না করে। সব ক্ষেত্রে আমরা নজরদারির চরম দুর্বলতা দেখছি। কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ নেই। শাস্তি যেটা হয় সেটা চুজ অ‌্যান্ড পিক, পলিটিক্যাল ডিসিশন।’

দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি দেখছেন না জানিয়ে আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, ‘তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু তার নির্দেশনার বাস্তবায়ন তার লোকেরা করছেন না। তার যে রাজনৈতিক অনুসারী বা কেবিনেট আছেন, তার দল এবং তার সরকার, যাদের তিনি পরিচালনা করছেন- তারা তার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন না।’

প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুর্নীতি জেঁকে বসেছে। ঘুস ছাড়া কোনো সেবাই মিলছে না। তাই সাধারণ মানুষ ঘুস দিয়ে সেবা নেওয়াকেই স্বাভাবিক বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিয়েছেন বলে মনে করছেন কোনো কোনো সাবেক আমলা।

সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে আমরা এখন দুর্নীতিটাকে সবাই মেনে নিয়েছি। এটি এখন স্বাভাবিক যে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে আমাকে ঘুস দিতে হবে, এসিল্যান্ডকে ঘুস দিতে হবে, কাস্টমসে ঘুস দিতে হবে, থানায় গেলে ঘুস দিতে হবে। এটিকে আমরা পাবলিক অ্যাকসেপটেন্সের জায়গায় নিয়ে গেছি। এজন্য তো আমরা কারো শাস্তি দেখছি না।’

ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘শাস্তি যেটা হচ্ছে সেটা খুবই নগণ্য। বড় একটা অপরাধ করলো তাকে বদলি করে দিল শাস্তি হিসেবে, এটা তো শাস্তি হতে পারে না। ফৌজদারি অপরাধ করে সরকারি কর্মকর্তারা সামান্য শাস্তি পাচ্ছেন। জেলে যাওয়ার মতো অপরাধ তারা করছেন, কিন্তু শাস্তি নেই।’

‘সম্পদের বিবরণী দেওয়ার কথা, কিন্তু সেটা কেউ দিচ্ছেন না। সেটা কেউ দেখছেও না, কোনো তদারকি নেই। অন্য দেশে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বাড়িতে অফিসে রেইড হয়, তাদেরকে হাতেনাতে ধরা হয়। আমাদের এখানে দুর্নীতি এত ছড়িয়েছে যে আপনি সাব-রেজিস্ট্রার অফিস কিংবা শুল্ক ভবনে রেইড দিলে অনেককে ধরতে পারবেন। কিন্তু এগুলো যাদের করার কথা, তারা তো করছে না।’

ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, ‘আগে পাঁচ থেকে দশ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি করতো। সমাজের অন্য সবাই তাদের খারাপ চোখে দেখতো, তাদের সঙ্গে মানুষ বৈবাহিক সম্পর্ক করত না, তাদের দাওয়াতে যেত না। এখন যারা দুর্নীতিবাজ তারাই সমাজের মাথা। এখন যে বেশি ঘুস খায় তার সমাজে প্রতিপত্তি বেশি। অনেক ক্ষেত্রে এখন সমাজে সাফল্যের মাপকাঠি হয়ে গেছে আপনি কত বেশি ঘুস খেতে পারেন।’

তবে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কারো দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা নেই। দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না।

আদালতের নির্দেশনা ও রুল জারি

দুর্নীতি রোধে বিধি-বিধান বাস্তবায়নের নির্দেশ ও নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত। গত মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সম্পদ বিবরণীর ঘোষণা ও সময়ে সময়ে দাখিলের বিধি (১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা) যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের অবৈধ সম্পদ অর্জন রোধে প্রয়োজনীয় নীতিমালা, আইন ও নীতি করতে বিবাদীদের ভয়াবহ ব্যর্থতা এবং কথিত নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশ ও ডিজিটাল মাধ্যমে সময়ে আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতি তো সবাই করে না। একটা অফিসের সবাই কি দুর্নীতিবাজ? হাতেগোনা কয়েকজন করে। ওই হাতেগোনা কয়েকজনের জন্য বাকি সবাই বিব্রত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে অবস্থানটা তো পরিষ্কার হয়েছে যে, দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না এবং দেখানো হচ্ছে না।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সরকারের প্রশাসন যন্ত্র দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে কেউ কোনো রকম বাধা দেয়নি, সরকারের সব মেকানিজম এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সব সময় সহযোগিতা করছে। কোনো একটা জায়গায় দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। এমন কোনো বিষয় থাকলে আমার নজরে আনেন, তবে আমি আবার তদন্তের ব্যবস্থা করব। সেটি আমি আপনাদের বলতে পারি।’

কথা বললেন না জনপ্রশাসন সচিব

নজরদারির অভাবে প্রশাসনে দুর্নীতি বেড়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ফোনে এ বিষয়ে মন্তব্য করব না। সরাসরি কথা বলব।’ এ নিয়ে তিনি তার একান্ত সচিবের (পিএস) কাছ থেকে সময় নেওয়ার অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে সিনিয়র সচিবের পিএস মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে কথা বলে আপনাকে সময় জানাবো।’ কিন্তু তিনি আর সময় জানাননি। ফের যোগাযোগ করা হলে পিএস বলেন, ‘শিডিউল মেলাতে পারিনি।’

আরএমএম/এমএমএআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।