মৎস্য খামারের আড়ালে জঙ্গি প্রশিক্ষণ

আনসার আল ইসলামের সক্রিয় নারী সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৪
আনসার আল ইসলামের সক্রিয় নারী সদস্য গ্রেফতার/ছবি সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় এক নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম পারভীন আক্তার (২৪)।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে এটিইউয়ের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পারভীন আক্তার কক্সবাজার সদরের পূর্ব হামজার ডেল গ্রামের বাসিন্দা। তার কাছে থেকে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এটিইউ জানায়, গ্রেফতার পারভীন মৎস্য খামারের আড়ালে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিতে আসা সদস্যদের বসবাসের সুযোগ তৈরি করা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় রান্নাবান্নাসহ নারী প্রশিক্ষণার্থীদের সার্বিক বিষয় সমন্বয় করতেন।

ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল বলেন, গত মাসের ৯ জুন নেত্রকোনার বাসাপাড়া গ্রামে একটি খামারবাড়ি ভাড়া নিয়ে মৎস্য খামার পরিচালনার আড়ালে আনসার আল ইসলামের একটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খোঁজ পায় পুলিশ। এরপর এটিইউয়ের বোম্ব ডিসপোজাল ও সোয়াট টিমসহ নেত্রকোনা জেলা পুলিশ যৌথভাবে ওই স্থানে অভিযান চালায়। আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগজিন ও তাজা গুলি, কম্পাস, ওয়াকিটকি সেট, হাতকড়া, ল্যাপটপ, এসএসডি, মোবাইল ফোন, পিকআপ গাড়িসহ মোট ৮৬ ধরনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে তারা।

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, প্রায় তিন বছর আগে এজাহারভুক্ত আসামি মো. হামিম হোসেন ওরফে ফাহিম ওরফে আনোয়ার আহমেদ ওরফে শাহজালাল ওরফে আরিফ (৩২) আড়াই একর জায়গার একটি খামার বাড়ি পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নেন। হামিম হোসেন ওরফে ফাহিম ও তার স্ত্রী এজাহারভুক্ত আসামি উম্মে হাফসা (২৫), গ্রেফতার পারভীন আক্তার ও তার স্বামী রশিদ আহম্মদ (সাংগঠনিক নাম তানভীর) মৎস্য খামারের দোতলা পাকা বাড়ির বিভিন্ন কক্ষে বসবাস করতেন। হামিম হোসেন ওরফে ফাহিম ৫ জুন অস্ত্র-গুলিসহ নরসিংদীর রায়পুরা থানায় গ্রেফতার হওয়ার পর পারভীন আক্তার আত্মগোপনে চলে যান।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেফতার পারভীন আক্তারসহ তার অন্য সহযোগীরা মৎস্য চাষের আড়ালে নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামের সদস্যপদ গ্রহণে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। ভাড়া করা খামার বাড়িটিকে আনসার আল ইসলামের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন তারা। নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করে সর্বোচ্চ গোপনীয়তার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহ করে প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল এই চক্রটি।

তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্যে খামারবাড়িটিতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম স্থাপন এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলি, বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ অবৈধভাবে সংগ্রহ করে জমা রাখা হয়। পারভীন আক্তার তার অন্য সহযোগীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসা সদস্যদের বসবাসের সুযোগ তৈরি করা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় রান্নাবান্না করাসহ নারী প্রশিক্ষণার্থীদের সার্বিক বিষয় সমন্বয় করতেন।

টিটি/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।