বিমানের নতুন এমডি

১০ বছরে বিমানের বহরে নতুন ৩২ এয়ারক্রাফট যুক্ত হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩০ পিএম, ৩০ জুন ২০২৪
বিমানের নতুন এমডি মো. জাহিদুল ইসলাম (মাঝে)

রুট সম্প্রসারণ ও যাত্রীর চাপ বিবেচনায় রেখে আগামী ১০ বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে আরও ৩২টি এয়ারক্রাফট যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এই চাহিদা মেটাতে ইউরোপীয় বহুজাতিক উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে সক্রিয়ভাবে এয়ারক্রাফট কেনার চিন্তাভাবনা চলছে।

রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, আমরা দেখছি ২০৩৫ সালের মধ্যে রুট সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিমানের মোট ৪৭টি উড়োজাহাজের প্রয়োজন। বর্তমানে বিমান বহরের ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৬টি ফেজ আউট হবে। সেজন্য আরও ৩২টি উড়োজাহাজ পারচেজ (ক্রয়) অথবা লিজের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান এমডি বলেন, এয়ারবাসের সঙ্গে বিমানের আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। বোয়িংও বিমানকে তাদের উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। বোয়িংয়ের প্রস্তাব রিভিউ করবো। আমাদের দুটিরই প্রয়োজন আছে।

গত অর্থবছরে বিমান তার বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজ (এয়ারক্রাফট) দিয়ে ৩২ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে এবং এই সময়ে সংস্থাটি ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের মাইলফলক অর্জন করেছে। এ বছর আয় আরও বাড়বে– এমন আশাবাদ জানিয়ে জাহিদুল বলেন, কার্গো থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা আয়ের আশা করছি। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের আইএসও সার্টিফিকেশন পেলে এটি বিশাল অর্জন হবে। বিভিন্ন বিভাগ থেকেই আমরা ভালো করছি।

তিনি বলেন, বিমান মিডিয়াম রিস্ক ক্যাটাগরি থেকে লো রিস্ক ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। তাছাড়া বিমান দুটি ৭৭৭ উড়োজাহাজের পুরো অর্থ পরিশোধ করেছে। আরও দুটিরও শোধ হওয়ার পথে।

এমএমএ/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।