আসন ফাঁকা রেখে বিমান উড়বে না: নতুন এমডির চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ৩০ জুন ২০২৪
সাংবাদিকদের সঙ্গে বিমানের নতুন এমডির সৌজন্য সাক্ষাৎ

অনলাইনে টিকিট নেই অথচ বিমানের আসন ফাঁকা—এই সমস্যা সমাধানে শিগগির পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।

তিনি বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ অনলাইনে বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না। আবার আসন ফাঁকা রেখে বিমান যাত্রী পরিবহন করে। আমি বিমানের দায়িত্ব পাওয়ার পর এ সমস্যা সমাধান বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সেবা দিতে চাই।

রোববার (৩০ জুন) কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বলাকা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য প্রস্তুত। বিমান ৫২ বছর ধরে এ কাজ করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বা তাদের সিস্টার্স কনসার্ন, তারাই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে বিমান এটা দাবি করে। সেই হিসেবে আমরা আশাবাদী।

নতুন গন্তব্যে বিমানের ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার বিষয়ে বিমানের এমডি বলেন, আমাদের এক্সিটিং (নতুন গন্তব্য) ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। মালে, কুনবিং, জাকার্তা, সিউল ও সিডনিতে আমরা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাশা করছি।

বিমানের ফ্লাইট ডিলে সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের অন-টাইম পারফরম্যান্স নরমালি ৭৪ পারসেন্ট। গত মাসে সেটি ৬৭ শতাংশ ছিল। কীভাবে ডিলে কমানো যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।

এ সময় বিমানকর্মীদের সোনা চোরাচালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না।

দুর্নীতি করে কোনো প্রতিষ্ঠান আগাতে পারে না জানিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বিমানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। এর আগে এখানে যারা দুর্নীতি করেছেন, বিভিন্ন লেয়ারে তাদের শাস্তি হয়েছে। কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কাউকে পদঅবনতি করা হয়েছে, কারও বেতন কমানো হয়েছে। আমিও এই জায়গাগুলোতে কাজ করবো এবং অব্যাহত থাকবে। আমরা টিকিটিংয়ের জায়গা ও দুর্নীতির জায়গা থেকে মুক্ত হতে চাই।

এর আগে গত ২৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয় মো. জাহিদুল ইসলামকে। জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বিসিএস (প্রশাসন) ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে গত সাড়ে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর জাহিদুল ইসলাম ভূঞা শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউলে প্রথম সচিব (শ্রম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এমএমএ/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।