পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত হচ্ছে সরকারি কর্মচারী আইনের খসড়া
আগামী প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় ‘সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত হচ্ছে। রবিবার কমিটির সভায় উঠলেও অনুমোদন পায়নি আইনটি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, রবিবারের সভায় আইনের খসড়াটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত করা হয়নি। খসড়াটি আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছি। অন্য দেশের এ সংক্রান্ত আইনগুলো পর্যালোচনা করছি। যাতে আমাদের আইনটি নিয়ে কারো মধ্যে কোনো সংশয় না থাকে।
নতুন আইনের খসড়ায় প্রশাসনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের বিষয়টি থাকছে কিনা জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, খুটিনাটি সবকিছু আইনে থাকে না। আইনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা থাকবে বিধিমালায়।
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে সরকারের পূর্ব অনুমোদন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নাসের চৌধুরী বলেন, সরকারি কার্যপালন করতে গিয়ে যদি সরকারের কর্মচারীদের নামে মামলা হয়, তবে আদালতের অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে কর্মচারীকে গ্রেফতারের প্রয়োজন হলে সরকারের পূর্ব-অনুমোদন লাগবে, এই বিষয়টিই খসড়া আইনে আছে। এটি চূড়ান্ত নয়, আমরা এটি নিয়ে পর্যালোচনা করছি।
সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য আইন প্রণয়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কোনো সরকারই এ আইন প্রণয়ন করেনি। সরকারগুলো বিধি, নীতিমালা ও প্রয়োজনমতো নির্দেশনাপত্র জারি করে সরকারি কর্মচারীদের পরিচালনা করছে ও করেছে। গত মহাজোট সরকারের সময় আইনটি করার জন্য কয়েক দফা খসড়া প্রণয়ন করা হলেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি।
সচিব কমিটির সভায় উপস্থাপন করা খসড়া আইনটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এতে ১৬টি ধারা রয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কর্মচারীর দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত কোন অপরাধের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন বা এমন কোন সাংবিধানিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থা তদন্ত করতে ও উপযুক্ত আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। তবে এ সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলায় আদালতের অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে কর্মচারীকে গ্রেফতারের প্রয়োজন হলে সরকারের পূর্ব-অনুমোদন লাগবে।
সংবিধানের ১৩৫ অনুচ্ছেদের বিধান সাপেক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এবং বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণ না করে কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।