ঢাকার দুই সিটিতে ভোট হতে পারে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অর্থাৎ ছয় মাস পর শুরু হচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভোটের দিন গণনা। এরপর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে দুই সিটির ভোট।
ইসি জানায়, জুলাই মাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকা প্রস্তুতসহ নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করছে ইসি। দুই সিটি ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের জন্য কিছু কর্মকর্তা এখন থেকেই জোর তদবির চালাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোটের জন্য আমাদের হাতে বেশ সময় আছে। সময়মতো আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করবো।
নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানায়, ঢাকার উত্তর সিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ২ জুন। দক্ষিণ সিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ৩ জুন। এ হিসাবে ঢাকা উত্তর সিটির চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর দিন গণনা শুরু হচ্ছে। আর দক্ষিণ সিটির দিন গণনা শুরু হচ্ছে ৫ ডিসেম্বর। দুই সিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১ ও ২ জুন। দিন গণনার শুরুর দিন থেকে যে কোনো দিন ভোটগ্রহণ করতে পারবে ইসি।
আরও পড়ুন
- এনআইডি সংশোধন নিয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করলো ইসি
- দলীয় প্রতীক না থাকলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে: ইসি
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০২০ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হয় ইভিএমে। ঢাকা উত্তরে ২৫ শতাংশ এবং দক্ষিণে ২৯ শতাংশ ভোট পড়ে।
জানা গেছে, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়র শপথ নেন। এরপর ১৩ মে ঢাকা উত্তরের দায়িত্ব নেন আতিকুল ইসলাম এবং ১৬ মে ঢাকা দক্ষিণের চেয়ারে বসেন শেখ ফজলে নূর তাপস। নির্বাচন ঘিরে ১ ফেব্রুয়ারি আতিকুল ইসলাম ইশতেহারে ৩৮ ও তাপস ৫০টি প্রতিশ্রুতি দেন।
দুই সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৮ জন ও নারী ভোটার ২৬ লাখ ২০ হাজার ৪৫৯ জন। সিটি করপোরেশন হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন; যার মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ ও নারী ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন।
এমওএস/এমআরএম/এএসএম