শিল্প সচিব

চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ২৫ জুন ২০২৪

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, শুধু নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি এটি বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

সোমবার (২৪ জুন) শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে বিদ্যমান সিইটিপি'র সংস্কার ও উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব আরো ৩টি সিইটিপি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ট্যানারিগুলোর ‘এলডব্লিউজি’ (লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ) সনদ প্রাপ্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আশানুরূপ হারে বৃদ্ধি পাবে।

চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা হচ্ছে

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. আবদুল হালিম। তিনি বলেন, ১৯৪০ এর দশকে এদেশে প্রথম চামড়া শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। পরিবেশবান্ধব ও প্রতিযোগিতামূলক চামড়া শিল্পখাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯' প্রণীত হয়। কিন্তু নানাবিধ কারণে এটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি এসময় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকসসহ এ খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কর্মশালায় আলোচনা করেন বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, বিএসটিআই এর মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও মো. শামীমুল হক প্রমুখ।

এনএইচ/এসআইটি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।