তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ, রোধে হচ্ছে সম্মিলিত ড্রাইভ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১২ পিএম, ২৪ জুন ২০২৪
জুনাইদ আহমেদ পলক

অনলাইন জুয়ার সঙ্গে দেশের ৫০ লাখ মানুষ জড়িত। এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে একটি ড্রাইভ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনলাইন জুয়া নিয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। এটাতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আমাদের বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েরা। এমনকি অনেক বয়স্ক রিটায়ার্ড ব্যক্তিরাও এর মধ্যে আসছেন। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি ৫০ লাখ মানুষ কীভাবে যেন এই অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমরা জুয়ার সাইটগুলোকে ব্লক করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি একটা সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। যেন সাধারণ মানুষ এ ধরনের কোনো প্রলোভনে পড়ে প্রতারিত না হন। আমাদের দেশের মুদ্রা যেন বিদেশে পাচার না হয়। একটা সচেতনতা আর একটা প্রযুক্তিগত প্রয়োগ, পাশাপাশি কঠোর আইনের প্রয়োগ।

‘আমরা মোট ২ হাজার ৬০০টি জুয়ার সাইট ব্লক করেছি। এখন আমরা মোবাইল অ্যাপগুলো প্রতিনিয়ত ব্লক করছি। এটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস, চলতে থাকবে।’

আপনারা সাইট ব্লক করছেন, ওরা আবার অন্য দিক দিয়ে খুলছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পলক বলেন, সেটা নিয়ে আমরা যৌথভাবে বসেছিলাম ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার, কম্পিউটার কাউন্সিল, বিটিআরসি এবং সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি- সবাইকে নিয়ে আমরা বসেছিলাম। যার যতটুকু সক্ষমতা আছে পুলিশ এবং ইন্টেলিজেন্স, সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে একটা ড্রাইভ দিচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আরও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আমরা নিয়মিত এটা আমরা ব্লক করতে থাকবো। মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোর্সে যেটা পাচ্ছি, সেটা ব্লক করার চেষ্টা করছি।

আরএমএম/এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।