১৫ লাখ টাকার সেই ছাগল দৈনিক খায় দুই কেজি আপেল
‘উচ্চবংশীয়’ একটি ছাগল ১৫ লাখ টাকায় কিনতে গিয়ে আলোচিত সমালোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ। কোরবানি শেষ হলেও ছাগলকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক যেন থামছে না। সামাজিকমাধ্যমে ঘুরছে ছাগল, ইফাত ও একজন রাজস্ব কর্মকর্তাকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ঈদের আগে আলোচনায় ওঠা ১৫ লাখ টাকা দামের সেই ছাগল এখনো রয়ে গেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোতে। আলোচিত তরুণ ইফাত ছাগলটির জন্য অগ্রিম লাখ টাকা দিলেও ছাগলটি নেননি। এমনকি ক্রেতাকে ফোনেও পাচ্ছে না ছাগল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। ফলে আগামী কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ছাগলটির যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোতে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্রাম নিচ্ছে ছাগলটি। সেখানে কথা হয় সাদিক এগ্রোর ম্যানেজার মোহাম্মদ শরিকের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ছাগলটি আগের থেকে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। আগামী ঈদে বিক্রির জন্য যত্ন নেওয়া হচ্ছে। আপেল-গাজর খাচ্ছে আর ঘুমাচ্ছে। এছাড়া পাতা ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে। আল্লাহ ছাগলটি বাঁচিয়ে রাখলে আগামী ঈদে বিক্রি করবো।
আরও পড়ুন
সাদিক এগ্রোর কর্ণধার মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন বলেন, যশোরের একটা হাট থেকে সাড়ে ১০ লাখ টাকায় কেনা হয় ছাগলটি। এর পরে কোরবানির ঈদে ১২ লাখ টাকায় ছাগলটি কেনার জন্য এক তরুণ লাখ টাকা বায়না করেছিলেন। ১২ জুন বাকি টাকা পরিশোধ করে ছাগলটি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরপর আমরা তাকে আর খুঁজে পাইনি। ছাগলটি আমাদের কাছ থেকে অনেকে কিনতে চেয়েছিলেন। বুকিং ছিল বলে আমরা সেটি বিক্রি করতে পারিনি। মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের ওই তরুণকে আমরা খুঁজছি।’
এমওএস/এমএএইচ/এএসএম