পোস্তায় ১০ টাকাও দাম নেই ছাগলের চামড়ার
ঈদের দ্বিতীয় দিনও রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া আসছে। এদিন বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি হওয়া পশুর চামড়া পোস্তায় আসা শুরু করেছে। তবে গত কয়েক বছরের কোরবানির ঈদের মতো এবারও খাসির চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পোস্তায় কিনছে না ছাগলের চামড়া।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে ঢাকায় চামড়ার পাইকারি আড়ত পোস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, যারা খাসির চামড়া নিয়ে গেছেন তাদের হতাশ হতে হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও এমন তথ্য জানানো হয়েছে জাগো নিউজকে।
ছাগলের চামড়া কিনছে, এমন আড়তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে রাস্তায় ফেলে রাখা ছাগলের চামড়া একজনকে সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তিনি ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লেগে থাকা মাংস ছড়াচ্ছেন।
গত বছরও ছাগলের চামড়া এ রকম দামহীন ছিল বলে জানালেন পোস্তার আড়তদার মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ছাগলের চামড়ার তো কোনো মূল্যই নেই। কেউ নেয় না। রাস্তায় ফেলে দেওয়ার মতো অবস্থা।
এবার ট্যানারিতে প্রতি বর্গফুট ছাগলের চামড়ার দাম ঘোষণা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১২ থেকে ১৪ টাকা।
আরও পড়ুন
- অভিজ্ঞতা না থাকায় লোকসানে পড়েন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা
- চট্টগ্রামে বাধ্য হয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি
- দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে চামড়াবাহী ট্রাক
একটি খাসিতে যদি ৫ থেকে ৬ বর্গফুট চামড়া হয়, তাহলে লবণ দেওয়ার পর দাম পাওয়া যাবে ১০০ থেকে দেড়শ টাকা। চামড়ার এ দর সরকারের ঘোষণা করা দরের তুলনায় কোনো দাম নেই।
এটা ঠিক আড়তে বর্গফুটের হিসাবে চামড়া কেনা হয় না, আর কাঁচা চামড়া কেনার পর তাতে লবণ দেওয়া ও সংরক্ষণের খরচ আছে, তার পরও কোনো দাম নেই বলে হতাশ হয়েছেন বিক্রি করতে আসা অনেকে।
তবে পোস্তার ব্যবসায়ী কামাল উদদীন বলেছেন, পোষায় না বলে ছাগল ও খাসির চামড়া কেনেন না তারা। আগে ছাগলের চামড়া কেনা হতো, এখন গরুর চামড়া কেনা হয়, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার পোস্তারে খালি করে দিয়েছে। সব নিয়া গেছে হেমায়েতপুর। ছাগলের কোনো আড়ত পোস্তায় নেই। আগে ট্যানারি ছিল হাজারীবাগ, এখন গেছে সাভার। ব্যবসাটা আসলে তারাই করছে।
জানা গেছে, চাহিদা কম থাকায় সবচেয়ে কম দামে খাসির চামড়া বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি চামড়া মাত্র ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস