শেষ দিনে গরু কিনতে ক্রেতাদের ঢল, দামও বেশি
ঝিনাইদহের শৈলকুপার ইউনুস ব্যাপারী। রাজধানীর হাটে তুলেছেন ২২টা গরু। প্রতিটা গরু মাঝারি মানের। দাম ১ লাখ ১০ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। এর মধ্যে ১৭টি গরু বিক্রি করেছেন সীমিত লাভে। ৫টা গরুর দাম বাড়তি হাঁকছেন তিনি।
এভাবেই হঠাৎ করে বেড়েছে গরুর দাম। গরুর তুলনায় ক্রেতাও বেড়েছে হাটে। এই সুযোগে গরুর বাড়তি দাম হাঁকছেন ব্যাপারীরা।
শনিবার থেকে গরুপ্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।
রোববার (১৬ জুন) মোহাম্মদপুর বছিলাসহ কয়েকটি হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তিন মণ মাংস মিলবে না এমন গরুর দাম ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাঁকা হচ্ছে।
সকালে দাম একটু কম ছিল। কিন্ত বেলা ১১টার পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে গরুর দাম। মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ হাউজিংয়ের বাসিন্দা হাজী মমিনুল মিয়া, গতকাল যে গরু এক লাখ টাকায় কেনেননি অথচ আজকে একই মানের গরু ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কিনেছেন তিনি।
আরও পড়ুন
- মন ভালো নেই ছাগল বিক্রেতাদের
- ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি পশুর হাটে
- রাস্তায় পশুর হাট, ১৬ ব্যবসায়ীকে পৌনে এক লাখ টাকা জরিমানা
মমিনুল বলেন, ‘ব্যাপারী গরু ছাড়ে না, বাড়তি দাম চাই। ব্যাপারীর আশা সন্ধ্যা ও রাতে দাম বাড়বে। দাম অনেক বেশি চাই। এমন দাম হাঁকছে, দাম শুনে হাসি পায়।’
অন্যদিকে, হাটে ক্রেতা বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি বলে দাবি ব্যাপারীদের।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ৫টি গরু মোহাম্মদপুর হাটে তুলেছেন জবেদ আলী ব্যাপারী। সব গরুর দাম বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।
বেশি দাম প্রসঙ্গে জাবেদ ব্যাপারী বলেন, ‘গরুর টান পড়ছে ক্রেতা বেশি। গতবার লোকসান খাইসি। এবার কম দামে গরু কেনা যাবে না। দাম বাড়তি হাটে গরু কম ক্রেতা বেশি।’
এমওএস/এমএস