এমপি আনার হত্যা

সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেফতার দেখালো ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেফতার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ডিবির একটি সূত্র জাগো নিউজকে জানিয়েছে, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিছু তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। রিমান্ডের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তার আগে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে গ্রেফতার করা হলে তিনি মিন্টুর বিষয়ে তথ্য দেন। তার কাছে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণের পরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইদুল করিম মিন্টুকে ডাকা হয়।

গত মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে ধানমন্ডি থেকে সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে সাইদুল করিম মিন্টুর যোগাযোগ ছিল। এছাড়া গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। এসব বিষয়ে সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি।

আরও পড়ুন

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। 

অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে জানা যায়, হত্যার পর টুকরো টুকরো করা হয় এমপি আনারের নিথর দেহ। এরপর মাংসের টুকরো ফেলা হয় সঞ্জীবা গার্ডেনসের কমোডের ভেতর এবং পার্শ্ববর্তী বাগজোলা খালে ফেলা হয় হাড়গুলো।

আরও পড়ুন

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয় সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে গত ২৮ মে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো মানুষের কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায় না। পরে জানা যায় মাংসের টুকরোগুলো মানুষের।

তবে সেটি এমপি আনারেরই কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। ডিএনএ পরীক্ষার পরই সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে গত রোববার (৯ জুন) এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় কলকাতার বাগজোলা খালে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে কিছু হাড় উদ্ধার করেছে কলকাতার সিআইডি। সঙ্গে ছিল পুলিশ ও নৌবাহিনীর ডিএমজি টিম। তবে হাড়গুলো এমপি আনারের কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।

টিটি/এমএইচআর/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।