বাসে আসনের দামেই বিক্রি হচ্ছে ‘ইঞ্জিন কাভার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ১২ জুন ২০২৪

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাসের টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি শেষ হয়েছে। ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রাও শুরু হয়েছে। প্রতিটি আসনই পূর্ণ। আসন বিক্রি হলেও ইঞ্জিন কাভার সুপারভাইজার-হেলপারের বিশ্রামের জন্য রাখা হয়। তবে ঈদের আগে যাত্রীর চাপ বেশি হওয়ায় ইঞ্জিনের কাভার তিন আসন ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দাম নেওয়া হচ্ছে বাসের আসনের মতোই।

বুধবার (১২ জুন) গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি কাউন্টার অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। কাউন্টারে দায়িত্বরতরা জানান, আগেই সব আসন বিক্রি হয়ে গেছে। এখন ইঞ্জিন কাভারের সিট বিক্রি করা হচ্ছে। কারো টিকিট বাতিল হলে সেটাও বিক্রি হচ্ছে, ফেরত সাপেক্ষে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের দুরপাল্লার বাসগুলো প্রতি আসনের জন্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে টিকিট বিক্রি করেছে। তবে বড় কোম্পানির বাসগুলো ১০০ টাকা বেশি রেখেছে, বাকি বাসগুলোর যে যার মতো করে বেশি রেখেছে। এবার ইঞ্জিন কাভার তিন আসন ধরে বিক্রি চলছে। যদিও সেখানে দুইজনের বেশি বসা খুব কষ্টসাধ্য। দাম রাখা হচ্ছে বাসের আসনগুলোর মতোই। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা গেছে যাত্রীদের মাঝে।

বাসে আসনের দামেই বিক্রি হচ্ছে ‘ইঞ্জিন কাভার’

কথা হয় চুয়াডাঙ্গার যাত্রী আরিফের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের আগেই ঢাকা ছাড়তে চাই। এ কারণে গাবতলীতে এসেছি আসন পাওয়া যায় কিনা দেখতে। কিন্তু ইঞ্জিন কাভারের ওপরে আসন দিয়ে ৭৫০ টাকা চাচ্ছে পূর্বাশা পরিবহন। যেহেতু ইঞ্জিনের ওপরে সব সময় গরম থাকে, সেক্ষেত্রে দাম কম রাখা উচিৎ। কিন্তু তারা (কাউন্টার) এক দাম বলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন

একই অভিযোগ দেন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের যাত্রী তানিম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আজ প্রায় প্রতিটি গাড়িই ইঞ্জিন কাভারকে তিন আসন করে বিক্রি করছে। অথচ অন্যান্য সময়ে প্রতি আসন ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, ঈদের সময় সেসব আসন ৭৫০ টাকা হয়েছে। সেগুলো ঈদের কারণে ঠিক ছিল কিন্তু ইঞ্জিন কাভারের দাম কীভাবে ৭৫০ টাকা হয় আমার বুঝে আসছে না। তবু সকাল সকাল বাড়িতে যেতে পারবো এই আশায় হয়তো কোনো একটা বাসে উঠতে হবেই।

বাসে আসনের দামেই বিক্রি হচ্ছে ‘ইঞ্জিন কাভার’

তবে অভিযোগের বিষয়ে কাউন্টার মাস্টাররা বলছেন ভিন্নকথা। তাদের মতে, প্রতিটা বাসের ইঞ্জিন কাভারের আসন ধরে বিক্রি করা হয় যাত্রীর সখ্যার ভিত্তিতে। ঈদের পরে আসন ফাঁকা থাকে, সেখানে ইঞ্জিন কাভার বিক্রির প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া এই টাকা মালিকের হয়, আসন বিক্রি করা হয় যাত্রীর অনুরোধে।

এ বিষেয়ে কাউন্টারে কর্মরত হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যাত্রীর অনুরোধে টিকিট বিক্রি করি। অন্যান্য সময় বাস মালিক খালি গাড়ি নিয়ে যায়, ঈদের সময় সেসব খরচ পুষিয়ে নেয়। এখানে অনেক সময় লোকসানে থাকে গাড়ি, এসব দিক বিবেচনায় ইঞ্জিন কাভারও বিক্রি করা হয়।

বাসে আসনের দামেই বিক্রি হচ্ছে ‘ইঞ্জিন কাভার’

টাকা বেশি নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে না, এটাতো নির্ধারিত ভাড়া।’

ইএআর/এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।