দেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে জরিপ করবে বিবিএস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২০ এএম, ১২ জুন ২০২৪

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে অস্পস্টতা আছে। তাদের জীবিকা ও জীবনযাত্রা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। এ পরিস্থিতিতে দেশে রোহিঙ্গাদের সার্বিক তথ্য জানতে জরিপ পরিচালনা করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এ মাসেই জরিপের কাজ শুরু হবে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে এক অনুষ্ঠানে জরিপের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট ও পরিসংখ্যান সচিব শাহনাজ আরেফিন। বিবিএস মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

আগামী বছরের জুনে জরিপের প্রাথমিক তথ্য জানা যাবে। অক্টোবরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। জরিপে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ে প্রায় ২০০টি সূচক অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২০-২৫ মূল্যায়নে এ জরিপের উপাত্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জাতিসংঘের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফের সহায়তায় মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের (এমআইসিএস) আওতায় এটি পরিচালনা করা হবে। সারাদেশে নারী-শিশুদের নিয়ে বৃহৎ পারিবারিক জরিপ পরিচালনার অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা নিয়ে জরিপ করা হবে। তাদের নিয়ে পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এমআইসিএস হলো এক ধরনের পারিবারিক জরিপ, যার মাধ্যমে শিশু ও নারী সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পাওয়া যায়। এবারের জরিপে কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমবারের মতো মানুষের রক্তে সিসার মাত্রা, ভারী ধাতুর মাত্রা, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসের মাত্রা এবং রক্তশূন্যতা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরিবেশে সিসাসহ ভারী উপাদানের উপস্থিতি শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সময়মতো এ ঝুঁকি নির্ণয় ও মোকাবিলার মাধ্যমে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি তিনটি শিশুমৃত্যুর একটি প্রতিরোধ সহজ হবে।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমআইসিএস জরিপের ফলাফল টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার তথ্যের ঘাটতি পূরণ করতে এবং সময়োপযোগী তথ্যের মাধ্যমে কার্যকর পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা যাবে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, এ জরিপ প্রতিটা শিশুর প্রয়োজন ও তাদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। জরিপ থেকে প্রাপ্ত মূল্যবান তথ্য বাংলাদেশের শিশু ও তাদের পরিবার অনেক তথ্য জানবে। অনেক শিশু ও নারী যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সেগুলোর সময়োপযোগী সমাধানে পাবে।

এমওএস/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।