এনআইডি সেবা নিতে আসা জনগণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না: সিইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ১০ জুন ২০২৪
ফাইল ছবি

এনআইডি সেবা নিতে আসা জনগণের সঙ্গে যেন দুর্ব্যবহার করা না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এনআইডির গুরুত্ব এখন অপরিসীম। আমাদের ভোটার তালিকাও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। জনগণ এলে তাকে সেবা দিতে যেন বিলম্ব না হয়। আমি সরকারি কর্মচারী, তাদের যেন হয়রানি না করি, দুর্ব্যবহার না করি, সেটা নিশ্চিত রাখতে হবে।

সোমবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ‘এনআইডি সংশোধনের আবেদন ক্যাটাগরিকরণ ও দ্রুত নিষ্পত্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, এনআইডি এখনো শতভাগ সেটেলড ডাউন হয়েছে এটা আমার কাছে মনে হয় না। অনেকে কমপ্লেন করেন যে, পরিবর্তন, সংশোধন করতে হবে। আবার সংশোধনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা আবেদনকারী তাদের কারণে ভুল হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যগুলো আমি যখন লেখছি, তখন সঠিকভাবে লেখছি না। কিছু কিছু সংকট আমাদের আছে। এনআইডি ব্যবস্থাপনা একটি হাইলি কমপ্লিকেটেড।

সিইসি আরও বলেন, বিয়ের পর অনেক সময় স্বামীর নাম পরিবর্তন করতে হয়। কোনো কোনো দেশে এটা অপরিহার্য হিসেবে প্রয়োজন হয়। তাই স্বামীর নামটা অরিজিনালি থাকা উচিত। তাহলে বিড়ম্বনা হবে না।

এনআইডিতে ঠিকানা পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমি জানি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না। তবে অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয়। আমার হয়তো অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না, কিন্তু বস্তিতে যারা থাকেন তাদের ঘন ঘন অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে কী এনআইডি সংশোধন করতে পারবো, সে দিকটাও দেখতে হবে।

তিনি বলেন, বেওয়ারিশ লাশ শনাক্তকরণ, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে এনআইডির ব্যবহার হচ্ছে। এটা আমাদের আধুনিক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে এসেছে। এর প্রয়োজন ছিল।

সিইসি আরও বলেন, এনআইডি নিয়ে যে ম্যানিপুলেশন হচ্ছে, প্রায়ই শুনি এ ওর নাম নিয়ে ভিন্ন পরিচয় ধারণ করে এনআইডি নিয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত হচ্ছে। অনেকে বাবার নাম পরিবর্তন করে চাচার নাম নিয়ে সহায়-সম্পত্তি দখল করে ফেলছে। এই জিনিসগুলো গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে কোনো একটা উপায় বের করতে হবে। যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরাও দোষী হয়ে যাচ্ছি।

এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর থাকে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেউ যদি ১০টা দেশের নাগরিক হন এবং বাংলাদেশের নাগরিক হন তাহলে তিনি এনআইডি পাবেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের অজুহাতে কাউকে এনআইডি দেওয়া থেকে বাদ রাখা যাবে না। যদি তিনি কোনোভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হন, সনদের প্রয়োজন নেই তাকে এনআইডি দিতে হবে।

এমওএস/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।