প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য খাতে উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ০৮ জুন ২০২৪

প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে উন্নয়ন ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। শনিবার রাজধানীতে একটি হোটেলে ওয়ার্কশপে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমাদের মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি ইনশাআল্লাহ এদিন থাকবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্যের স্প্রিটটি ধরেই আমরা এ পর্যায়ে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান যে, শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশেই শুধু নয়, দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিচক্ষণ নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, লাইভস্টকের উন্নয়নের জন্য সঠিক নীতি প্রণয়ন খুবই জরুরি। এর একটি আইনগত ভিত্তিও থাকা দরকার। লাইভস্টক সেক্টর আমাদের দেহে শুধু পুষ্টিই যোগায় না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বড় ভূমিকা রাখছে।

এসময় তিনি জানান, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল।

মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য দূর করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃপ্ত কণ্ঠে যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন লাইভস্টক ও মৎস্য সেক্টরকে বাদ দিয়ে তা অর্জন করা যাবে না। তবে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে একটা সঠিক পলিসি নির্ধারণের মধ্যদিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পলিসি নির্ধারণে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে এফএও রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাড ইন্টেরিম অব বাংলাদেশ মিস্টার দিয়া সানো বক্তব্য দেন।

এনএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।