যারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে: বায়রা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ০৪ জুন ২০২৪

‘আমরা কথা দিলাম, যারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের সবার টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যেসব এজেন্সি তাদের দেশটিতে পাঠাতে পারেনি তাদের নামের তালিকা করা হবে। এজেন্সিকে কত টাকা দিয়েছে তারও তালিকা হবে। আমরা এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করে কর্মীদের দেওয়ার জন্য বায়রার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেব।’

মঙ্গলবার (৪ জুন) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলন এবং মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার।

আবুল বাশার বলেন, ১০১ জন ব্যবসা করেছে, তাদের সুযোগ দিয়েছে কে? নিশ্চয় দুই দেশের মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের সরকার ও মালয়েশিয়ান সরকার একটি চুক্তি করেছে। কতজন লোক লাগবে, কীভাবে নির্ধারণ করবে সেই চুক্তি করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এই চুক্তি বায়রার সঙ্গে করেনি। আর ওই চুক্তি মোতাবেক মালয়েশিয়া সরকার ১০১ এজেন্সিকে চিহ্নিত করেছে। বায়রার সদস্যদের এখানে কিছুই করার নেই।

তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালেও সিন্ডিকেট হয়েছিল, আমি সেটা ভেঙে দিয়ে আমাদের সদস্যদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। এরপর ২০০৮ ও ২০১৬ সালেও সিন্ডিকেট হয়েছে। একটা স্বার্থান্বেষী মহল চায় কোটিপতি থেকে আরও কোটিপতি হতে। এখন আমরা চেষ্টা করছি যেসব মানুষ যেতে পারেনি তাদের টাকা ফেরত দিয়ে বায়রাকে দায় মুক্ত করতে।

যারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি

বায়রার সভাপতি বলেন, ২০০৮ ও ২০১৬ সালে সিন্ডিকেটের ফলে মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট থেকে তারা আমাদের কর্মীদের রিসিভ করেনি। এটা আমাদের সরকারও জানে। মালয়েশিয়া এ ধরনের কর্মকাণ্ড সব সময় চালিয়ে থাকে।

কর্মীদের কাছ তিন থেকে চারগুণ বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এই যে ৫ লাখ, ৪ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে এটা সঠিক নয়। এ রকম কথার কথা অনেকে বলে।

গণমাধ্যম দুইজন এমপিকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের এমপিরা কোনো চক্রান্ত করেননি। তাদের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এখানে সংসদ সদস্যদের কথা আসছে কেন? তাদের রিক্রুটিং লাইসেন্স আছে, ব্যবসা করবে। এখন সে সংসদ সদস্য হোক আর যাই হোক তাদের তো ব্যবসা করার অধিকার আছে। এখন এগুলো নিয়ে একটা প্রতিপক্ষ চক্রান্ত করছে।

বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন বলেন, গত ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার ই ভিসা ইস্যু করেছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিয়েছে। ৩০ বা ৩১ মে যদি ই-ভিসা ইস্যু করা হতো তাহলে সংকট তৈরি হতো না। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টি দেখলে এ সমস্যা তৈরি হতো না।

যারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি

বায়রার বর্তমান মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয় যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেই তদন্ত কমিটির চিঠি আমাদেরও দিয়েছে। যেন আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে পারি। আমরা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সঙ্গে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের পরে যেসব কর্মীরা আসলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। পাশাপাশি যদি সম্ভব হয় এই কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠানো যায় কি না সে বিষয় সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

বায়রার নেতারা বলেন, প্রায় ছয় হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন বলেন, ১৬-১৭ হাজার কর্মী যায়নি সেটা আজকের বিষয় না। গত ২২ মাস আগ থেকে। এটা অনেক আগে থেকেই সেটেল্ট হচ্ছিলো। বছর শেষে যখন ব্যবসা শেষ হলো তখন আমরা বলছি টোটাল ১৭ হাজার কর্মী যেতে পারেনি। ১০১টা এজেন্সি যখন তাদের নম্বর সাবমিট করবে তখনই বলা যাবে আসলে কতজন কর্মী এখনো যাওয়া বাকি আছে।

আরএএস/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।