৯ জুন রিমালের সার্বিক ক্ষতি নিরূপণ, দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ০২ জুন ২০২৪

আগামী ৯ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সব মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রোববার (২ জুন) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। এ জন্য আমরা আগামী ৯ তারিখে (৯ জুন) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা করে সব মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা চূড়ান্ত করবো। এরপর এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছি। সবাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এই সপ্তাহের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির সমস্ত হিসাব পূর্ণাঙ্গ করে, আগামী ৯ তারিখে আর একটি সভা করে সব মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতি হিসাব প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেবো।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এরই অংশ হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সব মন্ত্রণালয়ের ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করবো।‌ মন্ত্রণালয়ের সভা ৯ জুন হবে, এর আগেই আমরা ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চূড়ান্ত করবো।’

আরও পড়ুন:

উপকূল এলাকায় সরকারি স্থাপনার ব্যাপক কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পায়রা বন্দরে যে ড্রেজিং করা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পলি মাটি আসার কারণে এটার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য আমরা কাজ করছি।’

‘উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এগুলোর ব্যাপারে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেবো। ‌মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কাজগুলো হবে।’

উপকূলীয় এলাকায় মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে মহিববুর রহমান বলেন, ‘মালিকরা শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আজকে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এদেরকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা আজকে কথা বলেছি। আমরা আশা করি আগামী ৯ তারিখে মিটিংয়ে আমরা সম্পূর্ণভাবে কমপ্লিট করবো। তখন সামগ্রিক পরিকল্পনা জানতে পারবেন, যেটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করবো।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে টেকসই বেড়িবাঁধ করার বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি, সেটা নিয়ে একটা সাজেশন আমরা প্রধানমন্ত্রী কাছে দেবো।’

আরএমএম/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।