লিয়াকত আলী লাকী

সাংস্কৃতিক সংগঠন সমৃদ্ধ করতে কাজ করে গেছেন অশোক রায় নন্দী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১১ এএম, ০১ জুন ২০২৪

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, অশোক রায় নন্দীর সান্নিধ্য আমাকে প্রাণিত করতো। শিল্প, সাংস্কৃতিতে যেখানে গেছেন সবাই তাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি খুব নিভৃতচারী ছিলেন। কাজটাকেই তিনি গুরুত্ব দিতেন সবসময়। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে কাজ করে গেছেন।

তিনি বলেন, মনে হয় যেন এই মুহূর্তে অশোক রায় নন্দী আমাদের সঙ্গেই আছেন। সেই মানুষটিকে হারিয়ে আমাদের বিশেষভাবে কষ্ট কাজ করছে। কাজটাকে যদি সততার মাধ্যমে করা হয় তাহলে সে মানুষটিকে ভালোবাসার অভাব নেই।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে থিয়েটার ফোরামের আয়োজনে প্রথিতযশা নাট্যযোদ্ধা, ঢাকা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত অশোক রায় নন্দীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

থিয়েটার ফোরাম চাঁদপুরের সভাপতি শহিদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুস, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. আবদুল হক তালুকদার, থিয়েটার ঢাকার অন্যতম কর্ণধার নরেশ ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল চন্দন রেজা।

এসময় পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করেন প্রয়াত অশোক রায় নন্দীর ছোট ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

এছাড়াও আরও স্মৃতিচারণ করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় ভৌমিক, জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য রূপালী চম্পক, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব ও চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব হারুন আল রশিদ প্রমুখ।

স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, অশোক রায় নন্দীর স্মৃতিকে ধরে রাখতে পারলে আমরা হয়তো আরেক একজন অশোক রায় নন্দীকে পাবো। সাংস্কৃতি অঙ্গনের বড় এক অধ্যায় ছিলেন। তিনি একজন প্রচারবিমুখ লোক ছিলেন। তিনি পৃথিবীকে ভালোবেসে ছিলেন এবং নিজেও ভালোবাসা পেয়েছিলেন। তিনি মানুষের মতো বেঁচেছিলেন। তিনি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাননি। আমরা যতদিন আছি তিনি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।

তারা বলেন, অশোক রায় নন্দী প্রচারবিমুখ মানুষ হলেও তার কর্মকাণ্ডগুলো প্রচার করার দায়িত্ব ছিল আমাদের, কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের। তার মৃত্যুর পর দেশে শোকসভা হওয়ার আগে কলকাতায় শোকসভা হয়েছিল। এমনটি হয়েছিল তাই কর্মের কারণেই। তার রাজনৈতিক আদর্শ ছিল। তার আদর্শ ছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ। তার এই আদর্শকে আমাদের বয়ে নিয়ে যেতে হবে। তার কর্মকাণ্ডগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

এসইউজে/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।