নারীসহ ৩৬৪ বাংলাদেশি পুলিশ সদস্য নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায়

আজ ২৯ মে। প্রতি বছর এ দিনে পালিত হয় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। এবারও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে।
ভোরে পিসকিপার্স রানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় অংশগ্রহণকারী সদস্যের সম্মানে উদযাপিত এ দিবসে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় শাহাদৎবরণকারী ও আহত সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। এ উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শাহাদৎবরণকারী ও আহত শান্তিরক্ষী এবং পরিবারবর্গদের সম্মাননা প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশ প্রধানসহ আরও অনেকে উপস্থিত থাকবেন।
দিবসটির মর্যাদা ও গুরুত্ব তুলে ধরে জাতীয় পত্রিকাসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতারে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন
শান্তিরক্ষী নিয়ে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন পক্ষপাতমূলক: আইএসপিআর
নারী এসপির নেতৃত্বে শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন ১৮০ সদস্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ে ছিলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর অঙ্গীকার বাংলাদেশের মহান সংবিধানেও প্রতিফলিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মানবতার কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারকে ধারণ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পদযাত্রা সূচিত হয় ১৯৮৯ সালে; নামিবিয়া মিশনের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ পুলিশের ২১ হাজার ৪৫৩ জন শান্তিরক্ষী বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে মিশন সম্পন্ন করেছেন। এরমধ্যে নারী শান্তিরক্ষী রয়েছেন এক হাজার ৮১০ জন।
বর্তমানে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, মালি, সাইপ্রাস, সেন্ট্রাল আফ্রিকা, সাউথ সুদান ও লিবিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ১২০ জন নারী সদস্যসহ ৩৬৪ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশের নারী পুলিশ কর্মকর্তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন।
টিটি/এমএইচআর/জেআইএম