জলবায়ুর বিরূপ আচরণে মৃত্যু বাড়ছে বজ্রপাতে

আবু আজাদ
আবু আজাদ আবু আজাদ , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ২৬ মে ২০২৪
প্রতীকী ছবি

দেশের পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারা বজ্রপাত কখনোই ভয় পেতেন না। উঁচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে দীর্ঘ আকৃতির বৃক্ষরাজি তাদের সুরক্ষা দিয়ে এসেছে সব সময়। তবে সে পরিস্থিতি বদলেছে। এখন আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখলেই দ্রুত বাড়ি ফেরেন অথবা নিরাপদ আশ্রয় খোঁজেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। কারণ, সম্প্রতি পাহাড়ে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যু।

গত ৫ মে ভোরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বেতছড়ি গোরস্থান এলাকায় বজ্রপাতে গাড়িচালক ছাদেক আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়ার (৮) মৃত্যু হয়। এসময় হাসিনার আরেক সন্তান ১১ বছর বয়সী মো. হাবিজ ঘরের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। একই দিন জেলার মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলায় বজ্রপাতে মারা যান আরও দুজন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অঞ্চলটি প্রথমবারের মতো এমন প্রাণঘাতী বজ্রপাতের সম্মুখীন হয়েছে। এটি ঘটেছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখ জাগো নিউজকে বলেন, এবারের বজ্রপাতের বড় ধরনের ভিন্নতা আছে। এটি ঘটেছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। এখানে ভূমিরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বঙ্গোপসাগর থেকে যে বাষ্পীভূত বাতাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, সেটি সরাসরি উত্তরে গিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্স বা সিলেটের পাহাড়ে বাধাগ্রস্ত হয়। তখন মেঘ তৈরি হয়। এ মেঘের কারণে দেশের সিলেট অঞ্চলে বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে যায়।

জলবায়ুর বিরূপ আচরণে মৃত্যু বাড়ছে বজ্রপাতে
ক. বজ্রপাতে মৃত্যুর স্থানিক বণ্টন এবং খ. ২০১৫-২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর হারের স্থানিক বণ্টন

‘কিন্তু এবার তিন সপ্তাহের হিটওয়েভ এসেছে ভারতের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে। বিশাল সমভূমি পেরিয়ে এ তাপপ্রবাহ দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় আঘাত করেছে। যে কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রচণ্ড বজ্রপাত হয়েছে, মানুষ মারা গেছে। এটি প্রকৃতির সাধারণ ধরন নয়। বাংলাদেশে সাধারণত দক্ষিণাঞ্চল থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে উত্তরাঞ্চলে বজ্রপাত হয়। কিন্তু এবার পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে গিয়ে আঘাত হেনেছে। বিগত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। এত দীর্ঘস্থায়ী হিটওয়েভও দেশে আগে ছিল না’ বলেন অধ্যাপক ফারুখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গত এক দশকে বজ্রপতে দেশে ২ হাজার ৯০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া গত তিনমাসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। ২০১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৫ সালে ২২৬, ২০১৬ সালে ৩৯১, ২০১৭ সালে ৩০৭, ২০১৮ সালে ৩৫৯, ২০১৯ সালে ১৯৮, ২০২০ সালে ২৫৫, ২০২১ সালে ৩১৪, ২০২২ সালে ৩৪৬ এবং ২০২৩ সালে ৩৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রের অপঘাতে।

বজ্রপাতে মৃত্যুর এ সংখ্যা এসময়ের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঘটে যাওয়া এক তৃতীয়াংশেরও বেশি। এছাড়া বজ্রপাতে আহত হয়ে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের পক্ষাঘাত, দুর্বলতা, মাথাঘোরা, স্মৃতিশক্তি এবং যৌনশক্তি হ্রাসের মতো উপসর্গ নিয়ে বাঁচতে হয়।

জলবায়ুর বিরূপ আচরণে মৃত্যু বাড়ছে বজ্রপাতে
বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ক. মোট মৃত্যু (২০১৫-২০২০); খ. মোট বজ্রপাতে মৃত্যুর শতাংশ (২০১৫-২০২২) চারটি ভিন্ন ঋতুর ওপর ভিত্তি করে

অধ্যাপক মুরাদ আহমেদ ফারুখ বলেন, পরিবেশ বিজ্ঞানের ভাষায় বজ্রপাতে মৃত্যু হলো ডাইরেক্ট ‘ওয়েদার রিলেটেড ডেথ’। বজ্রপাতে কয়েক মিলি সেকেন্ডে প্রায় ৩০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা ৮০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রবাহিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত না হলেও ভিকটিম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

‘বজ্রপাতের এখনকার পরিস্থিতি আর হ্যাজার্ডের পর্যায়ে নেই। এটি এখন পুরোপুরি ডিজাস্টারে রূপান্তরিত হয়েছে। দুই দশক ধরে কোনো নির্দিষ্ট দুর্যোগে এত বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়নি, বজ্রপাতে যত মানুষ মারা গেছে’ যোগ করেন অধ্যাপক ফারুখ।

সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী হেলিয়নে প্রকাশিত গবেষণা ‘বাংলাদেশে বজ্রপাত পরিস্থিতির ওপর জিআইএসভিত্তিক স্থানিক বিশ্লেষণে’ বলা হয়েছে, বেশিরভাগ প্রাণহানি বর্ষা-পূর্ববর্তী মৌসুম এবং বর্ষা ঋতুতে, যার মধ্যে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।

এতে আরও বলা হয়, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে আবহাওয়ার ধরন ও বৈশিষ্ট্য ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ এবং ঋতু পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটছে। এ কারণেই বজ্রপাত বাড়ছে।

বাংলাদেশের আকাশে বজ্রপাতের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী?

স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশে বজ্রপাতের সংখ্যা নিরূপণ করা বা গতিপ্রকৃতি বোঝার কোনো যন্ত্র নেই। তবে ফিনল্যান্ডের ভাইসেলা ইনকরপোরেশন তাদের ‘জিএলডি ৩৬০’ স্যাটেলাইট থেকে গ্লোবাল লাইটিং সিস্টেম অনুসরণ করে সারাবিশ্বের বজ্রপাতের পরিমাপ করে।

তাদের গত ছয় বছরের তথ্য অনুসারে, প্রতি বছর বাংলাদেশের আকাশসীমায় গড়ে ৭ লাখ ৮৬ হাজার বজ্রপাত হচ্ছে। এরমধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বা দুই লাখের বেশি বজ্রপাত আকাশ থেকে মাটিতে পতিত হচ্ছে।

জলবায়ুর বিরূপ আচরণে মৃত্যু বাড়ছে বজ্রপাতে
গড় বজ্রঝড় দিনের মৌসুমি স্থানিক বণ্টন (২০১৫-২০২০); ক. প্রাক-বর্ষা (মার্চ-মে); খ. বর্ষা (জুন-সেপ্টেম্বর); গ. বর্ষা-পরবর্তী (অক্টোবর-নভেম্বর) এবং ঘ. শীত মৌসুম (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি)

অধ্যাপক মুরাদ আহমেদ ফারুখ বলেন, বাংলাদেশে বজ্রপাতের সংখ্যা বাড়ার  পেছনে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি কারণ আছে। সেগুলো হলো- বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রায় তিন সপ্তাহের কাছাকাছি সময় ধরে একটি হিটওয়েভ স্থায়ী হয়েছে, যা এর আগে কখনোই হয়নি। এই হিটওয়েভ বজ্রপাত বাড়ানোর পেছনে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। আরেকটি কারণ হলো বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি। প্রচণ্ড গরমে আমাদের নদীনালায় থাকা পানি বাষ্পীভূত হয়ে আকাশে গিয়ে মেঘে আর্দ্রতা বাড়াচ্ছে। মেঘে আর্দ্রতা বাড়লে বজ্রপাতের সম্ভাবনাও বাড়ে।

এর সঙ্গে মোবাইল টাওয়ারের চার্জ ও বায়ুদূষণ অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরায়ণের ফলে যে বিপুল তাপ সৃষ্টি হচ্ছে এ কারণে বজ্রপাতের সম্ভাবনাও বাড়ে। এছাড়া বড় বড় গাছ কেটে ফেলায় বজ্রপাতে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বজ্রপাতের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে ক্ষতির পরিমাণও বাড়ে- বলেন অধ্যাপক ফারুখ।

সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের (এসএসটিএএফ) সেক্রেটারি রাশিম মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, বজ্রপাত বাড়ার বড় কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও উঁচু গাছ কেটে ফেলা। কোথাও এক ডিগ্রি উষ্ণতা বাড়লে বজ্রপাত বাড়ে ১২ শতাংশ। বাংলাদেশে গত ২৫ বছরে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। বজ্রপাত বাড়ার অন্যতম কারণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি।

বেড়েছে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশে বজ্রপাত বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার পরিধিও। দেশের যেসব অঞ্চলে আগে খুব একটা বজ্রপাত হতো না, সেখানে এখন বজ্রপাত হচ্ছে।

দেশের হাওর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল সাধারণত বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। সম্প্রতি দেশের পাহাড়ি অঞ্চলেও বজ্রপাত এবং এতে প্রাণহানি আগের চেয়ে বেশি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চলের তাপমাত্রা আগে এখনকার মতো ছিল না। ওই সব এলাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে, ফলে বজ্রপাতও বেড়েছে। যেসব জায়গায় বজ্রপাত আগে থেকেই বেশি, সেখানে এখন আরও বেশি হবে। যেসব অঞ্চলে কম ছিল, সেখানে বাড়বে। এ তাপমাত্রা চলমান থাকলে বছরে ৫০ শতাংশ বেশি বজ্রবৃষ্টি হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ উপকূলীয় ও পাহাড়ি অঞ্চলে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বরিশাল, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি। এছাড়া শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও কুমিল্লায় বজ্রপাতে মৃত্যু বেড়েছে।

জলবায়ুর বিরূপ আচরণে মৃত্যু বাড়ছে বজ্রপাতে
বাংলাদেশের ওপর বজ্রপাতের ঘটনাগুলোর সাময়িক পরিবর্তন

এসএসটিএএফের সেক্রেটারি রাশিম মোল্লা বলেন, বাংলাদেশে মোট বজ্রপাতের ৭০ শতাংশই হয় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। মৌসুমি বায়ু দেশের আকাশে আসার আগের দুই মাস এপ্রিল ও মে মাসে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে এর প্রকোপ থাকে বেশি। বর্ষায় তীব্রতা বাড়ে সুনামগঞ্জ, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রামে। শীতে বেশি আক্রান্ত হয় খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট।

করণীয় কী

এ বিষয়ে ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, মধ্যমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমাদের উচিত নির্বিচারে গাছ লাগানো। স্বল্প সময়ে লম্বা হয় এমন গাছ বজ্রপাত রোধে ভূমিকা রাখবে।’

‘বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ৮৬ শতাংশই কৃষক ও জেলে। এখন যে বজ্রবৃষ্টি হচ্ছে তা হলো শর্টলিফট। অর্থাৎ খুব কম সময়ের জন্য মেঘ তৈরি হবে। তা থেকে অনেক বৃষ্টি ও বজ্রপাত হবে। ২০ থেকে ৪০ মিনিটের এই বৃষ্টির সময় কৃষকদের বাইরে একটি ছাউনিতে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে কংক্রিটের ছাউনি তৈরি করতে হবে।’

অধ্যাপক ফারুখ বলেন, “বজ্রপাত নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্বাভাস প্রচার ও ‘আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ ডেভেলপ করা উচিত। বজ্রপাতে যেসব মানুষ মারা যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই কৃষক ও জেলে। এদের একটা বড় অংশই লেখাপড়া জানে না। এক্ষেত্রে কৃষক ও জেলেদের মতো মাঠের মানুষদের জন্য ট্রেনিং এবং প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করা উচিত। এটা করা গেলে নিঃসন্দেহে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমে আসবে।”

এএজেড/এমএইচআর/এমএমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।