১১ টিকাদান কর্মসূচিতে খরচ সাড়ে ৭`শ কোটি টাকা


প্রকাশিত: ০৭:৪১ এএম, ২১ এপ্রিল ২০১৬

বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে ৩৬ বছর ধরে। বর্তমানে ১০ টি রোগের বিরুদ্ধে ১১টি টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব টিকা প্রদানে প্রতিবছরে খরচ হচ্ছে  সাড়ে সাতশ’ কোটি টাকা। তবে এই অর্থের কোনটাই সরকারের রাজস্ব থেকে দিতে হয় না।

বৃহস্পতিবার রিপোটার্স ইউনিটির সাগর রুনী হলে "সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)" আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।  ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ও ডোনার এজেন্সিগুলো সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশে টিকা প্রদানের জন্য এসব অর্থ সহায়তা দেয় বলেও জানায় ইপিআই।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ট্রাইভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিনের পরিবর্তে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে বাইভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু হবে।

লিখিত বক্তব্যে ইপিআই কর্মসূচির ব্যবস্থাপক হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল জানান, দি পোলিও ইরাডিকেশন অ্যান্ড অ্যানডগেম স্ট্রয়োটেজিক প্লান ২০১৩-২০১৮ নামক কর্ম পরিকল্পনায় বলা হয়েছে সকল ওপিভি ব্যবহারকাকারী দেশে সমন্বিতভাবে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে ট্রাই-ভ্যালেন্ট ওপিভি ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে তার পরিবর্তে বাই-ভ্যালেন্ট ওপিভি টিকা ব্যবহার শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, বাই-ভ্যালেন্ট ওপিভি টিকা পূর্বের মত একই নিয়মে দুই ফোটা শিশুদের মুখে খাওয়াতে হবে। বাই-ভ্যালেন্ট ওপিভি ভ্যাকসিনে (টাইপ-১ ও টাইপ-৩) রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, পোলিও ভাইরাসের ১, ২ ও ৩ এই তিনটি টাইপ থেকে পোলিও রোগ হতে পারে। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও পোলিও টাইপ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত  রোগী পাওয়া যায়নি।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার `গ্লোবাল সার্টিফিকেশন কমিশন` ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে বিশ্ব থেকে টাইপ-২ পোলিও নির্মূল হয়েছে বলে ঘোষণা করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পৃথীবিতে যখন পোলিও রোগ বন্ধ হবে, তখন পোলিও টিকা খাওয়ানো বন্ধ করা হবে। তবে বর্তমানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিও থাকায় এই কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. তাইজুল ইসলাম, এ বারী প্রমুখ।

এমএম/এমএমজেড/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।