বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য কমবে: সাঈদ খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৬ পিএম, ১৮ মে ২০২৪

ঢাকার কাঁচাবাজারে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য অনেকটা কমে আসবে।

শনিবার (১৮ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে মিট দ্য প্রেসে এ কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক এই মেয়র।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও বয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজি ছিল। আমার গরিব-দুঃখী মানুষ তা কিনে খেতে পারতো। এখন সেই বয়লার মুরগি ২২৫-২৫০ টাকায় চলে গেলো। এটাকে কমানো সম্ভব। যদি কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজিটা বন্ধ করতে পারি।

পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমার সংসদীয় এলাকার থানা-পুলিশ যখন চাঁদাবাজি বন্ধ করতে যায়, তখন চাঁদাবাজরা সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের একটা কাগজ (সিটি টোল) দেখায় যে, তারা বৈধতা নিয়ে এই চাঁদাবাজি করছে। অর্থাৎ সিটি টোলের একটা প্রটেকশন তারা পায়। এই চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারের শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস কম দামে কিনতে পারবেন নগরবাসী।

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, সিটি করপোরেশন হচ্ছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, এটি ব্যবসায়িক কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে রাজস্ব আহরণ করে জনগণকে সেবা দিতে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। আর সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা নিশ্চিত করার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। সে কারণে দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় পার্থক্য আছে।

তিনি বলেন, সিটি টোল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদর্শ কর তফসিলে আছে। আমার সময়ে কিন্তু আমি সিটি টোল আরোপ করিনি। আজকে শহরের বিভিন্ন মোড়ে দেখবেন, লাঠি হাতে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, টেম্পু, বাস, ভ্যানগাড়ি থামিয়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমার সময় কর্তৃত্ব থাকা স্বত্বেও আমি এই কাজটি করিনি, যাতে নাগরিকদের ভোগান্তি না হয়, বিভ্রান্তির মধ্যে না পড়েন, অসহায় হয়ে না পড়েন।

আগে দক্ষিণ সিটিতে অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমার সময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জনদুর্ভোগ কমানো ছিল মূল দায়িত্ব। মেয়র থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। সিটি করপোরেশনকে চাঁদাবাজি করতে হয়নি।

আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাঈদ খোকন প্রার্থী হতে ইচ্ছুক কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চান, তাহলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো, ইনশাআল্লাহ।

এমএমএ/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।