আত্মসমালোচনা ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়: ধর্মমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ১৫ মে ২০২৪

আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

তিনি বলেন, ‘শিশুরা আমাদের নিকট থেকেই শিখবে। আমরা শিশুদের জন্য কী করছি- এটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে। আজকের এই শিশু-কিশোররাই আগামী দিনে জাতির কর্ণধার। তারাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে, জাতিকে এগিয়ে নেবে। যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে তাদেরকে অবশ্যই নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।’

বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা- ২০২৩ ও ২০২৪’ এর পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতা একটি শিখন প্রক্রিয়া। প্রতিযোগিতা হার-জিতের বিষয় নয়, বরং এটি শেখার এবং সমৃদ্ধ হওয়ার বিষয়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগীদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং আত্ম-উন্নতির সুযোগ ঘটে থাকে। এটি একজন মানুষকে দক্ষ করে তোলে।’

আত্মসমালোচনা ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়: ধর্মমন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের যে পৃথিবী, সেই পৃথিবীর সঙ্গে সমান তালে তারাও যেন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে, সেভাবেই তাদেরকে দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে তৈরি করতে হবে। শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সদগুণের উন্মেষ ঘটাতে হবে।’

প্রতিযোগীদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় নিজেকে সর্বোত্তমভাবে উপস্থাপনের কৌশল রপ্ত করতে হবে। যে বিষয়ে প্রতিযোগিতায় তুমি অংশ নিতে যাচ্ছো সে বিষয়টি পুরোপুরিভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।’ এসময় মন্ত্রী শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সদগুণের উন্মেষ ঘটানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মু. আ. হামিদ জমাদ্দারসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কিরাত, হামদ, নাত, আজান, আবৃত্তি, বক্তৃতা, রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ৬০ প্রতিযোগীর হাতে মন্ত্রী ও অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন।

এ প্রতিযোগিতাটি উপজেলা থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হয়।

আরএমএম/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।