কৃষিতে দরকার বড় বরাদ্দ
দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণ ধারায় রয়েছে প্রধানত দুটি সূচকের উন্নয়নে। একটি কৃষি এবং অপরটি ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদনখাত। পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্সের (পিএমআই) সবশেষ তথ্য বলছে এমনটি। অথচ সেই কৃষিখাতে ক্রমেই কমছে বাজেটের হিস্যা।
চলতি অর্থবছর মোট বাজেটে কৃষিখাতের বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা দেশের অর্থনীতিতে এ খাতের প্রত্যক্ষ অবদানের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। গত এক যুগে কৃষিখাতে বাজেটে বরাদ্দ নেমেছে অর্ধেকে। ২০১৩-১৪ সালের বাজেটে কৃষি খাতের হিস্যা ছিল ১১ শতাংশের ঘরে।
বাংলাদেশ খাদ্যনিরাপত্তার জন্য পুরোপুরি নির্ভরশীল কৃষিখাতের ওপর। আগামী বাজেটে (২০২৪-২৫ অর্থবছর) কৃষিখাতে বরাদ্দ ন্যূনতম ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত। বীজ, সার, সেচে ভর্তুকি বাড়ানোর দরকার। পাশাপাশি মনোযোগ দেওয়া দরকার কৃষিপণ্য বহুমুখীকরণ, প্রক্রিয়াকরণ, রপ্তানি বাড়ানো, কৃষি গবেষণা, উদ্ভাবন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বলে মনে করছেন কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
যেখানে দেশের মূল বাজেট প্রতি বছর বাড়ছে, সেখানে কৃষি বাজেট প্রতি বছর কমাটা দুঃখজনক। কৃষিতে বড় বাজেট দরকার। খাদ্যনিরাপত্তার জন্য যেখানে আমরা পুরোপুরি নির্ভরশীল কৃষিখাতের ওপর, সে বিষয়টি মাথায় রেখে বাজেটে কৃষিখাতের বরাদ্দ ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত।- ড. জাহাঙ্গীর আলম
কৃষি অর্থনীতিবিদ ও ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের সাবেক উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘যেখানে দেশের মূল বাজেট প্রতি বছর বাড়ছে, সেখানে কৃষি বাজেট প্রতি বছর কমাটা দুঃখজনক। এবছর পরিস্থিতি বেশ ভিন্ন। কৃষিতে বড় বাজেট দরকার। খাদ্যনিরাপত্তার জন্য যেখানে আমরা পুরোপুরি নির্ভরশীল কৃষিখাতের ওপর, সে বিষয়টি মাথায় রেখে বাজেটে কৃষিখাতের বরাদ্দ ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খু্ব বেশি খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে ভুগছি। এটাই এখন দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। যদিও সারাবিশ্বে খাদ্যের দাম কমছে। আগামীতে বৈশ্বিক আবহাওয়ার কারণে সারা বিশ্বে কৃষিখাদ্যের উৎপাদন কমবে, তখন বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য খাদ্য আমদানি কঠিন হবে। এসব মোকাবিলায় কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ বিষয়টি এবারের বাজেটে প্রথম গুরুত্ব দেওয়া দরকার।’
বাজেটে কৃষকের যেন ক্ষতি না হয় সেটা প্রথমে দেখতে হবে। তার উৎপাদনশীলতা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। যে কাজগুলো তারা যেভাবে করে, সেভাবে যেন সামাল দিতে পারে। বীজ, সার ও সেচ তারা যেন ঠিকমতো পায়।-অর্থনীতিবিদ এম আসাদুজ্জামান।
কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বাজেটে বীজ, সার ও নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধায় গুরুত্বের কথা বলেছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ এম আসাদুজ্জামান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজেটে কৃষকের যেন ক্ষতি না হয় সেটা প্রথমে দেখতে হবে। তার উৎপাদনশীলতা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। যে কাজগুলো তারা যেভাবে করে, সেভাবে যেন সামাল দিতে পারে। বীজ, সার ও সেচ তারা যেন ঠিকমতো পায়।’
তিনি বলেন, ‘এবার যখন খুব গরম হলো তখন সেচ সমস্যা হয়েছে। পানি ঠিক রাখতে হবে। প্রয়োজনে সেজন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ঠিকমতো সার আমদানি ও উৎপাদনে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। বাজেটে এমন সব কাজের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে, যাতে প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধা হয় এবং সেগুলো প্রত্যক্ষভাবে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হয়।’
বাজেট আমরা বুঝি না। আমরা বুঝি কী সুবিধা পেলাম আর কীসের দাম কমলো-বাড়লো। আমরা চাই এ বাজেটে সার-সেচের দাম কমুক। পাশাপাশি আমাদের ফসল ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা হোক।- কৃষক
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিখাতে ৪৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। শস্য কৃষিখাতের জন্য রাখা হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বাকি ২ দশমিক ৪১ শতাংশ মৎস্য ও পশুসম্পদ, বন ও পরিবেশ, ভূমি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, যা খুবই অপ্রতুল বলে অভিমত এই দুই কৃষিবিদের।
বাজেট নিয়ে সিরাজগঞ্জ সাদুল্লাপুরের কৃষক মুয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সারের দাম দু’দফা বাড়ানোর পরে আর কমানো হয়নি। সেটা কমানো হোক এ বাজাটে। গরমের কারণে এখন সেচ খরচ বাড়ছে, সেখানে আমাদের ভর্তুকি দরকার। এছাড়া শ্রমিকের সংকটে কৃষির খরচ বাড়ছে, সেজন্য কৃষি যান্ত্রীকীকরণে ভর্তুকি আরও বাড়াতে হবে। এখন সরকার ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে কৃষিযন্ত্র দেয় সেটা শুনেছি। কিন্তু সেটা সাধারণ কৃষক পায় না। সবার জন্য এ সুবিধা উন্মুক্ত করা হোক।’
আরও পড়ুন
- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
- আগের ‘শিক্ষা’ কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম করারোপের চিন্তা
- আরেক দফা বাড়ছে খরচের বোঝা!
- নির্মাণ-সেবাখাতে গতি কম, কৃষি-উৎপাদনে ভর করে এগোচ্ছে অর্থনীতি
জয়পুরহাট সদরের জামালপুর গ্রামের কৃষক খালিদ হোসেন বলেন, ‘বাজেট আমরা বুঝি না। আমরা বুঝি কী সুবিধা পেলাম আর কীসের দাম কমলো-বাড়লো। আমরা চাই এ বাজেটে সার-সেচের দাম কমুক। পাশাপাশি আমাদের ফসল ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা হোক।’
বীজ, সার ও সেচের জন্য যা প্রয়োজন
বাংলাদেশে পাট, গম, আলুসহ মাঝে মধ্যে বীজধানের সংকট হয়। যে কারণে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া কৃষক পর্যায়ে বীজ সংরক্ষণে চলমান প্রকল্প জোরদার করা প্রয়োজন। সারের দাম বিশ্ববাজারে কমেছে। ফলে সারের দাম কমানোরও উদ্যোগ থাকা দরকার।
পাশাপাশি এবার বাজেটে শূন্য ভ্যাটের আওতায় ‘সার’ মূসক চালান ইস্যু করা থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি আমদানিকারকরা। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন তাদের বাজেট প্রস্তাবে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি থাকলেও কিছু সার ব্যবসায়ী পর্যায়ে এইচএস (হারমোনাইজড সিস্টেম) কোড উল্লেখ না থাকায় প্রযোজ্য ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানিয়েছে। সেগুলো হলো- জিঙ্ক সালফেট, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, চিলেটেড জিঙ্ক, বোরন, সল্যুবর বোরন ও এসওপি।
তারা এ-ও বলছে, বরিক অ্যাসিড, বোরন, চিলেটেড জিঙ্ক, জিপসাম সার বিদেশ থেকে আমদানি মূল্যের চেয়ে বেশি দাম অ্যাসেসমেন্ট করা হচ্ছে। যে কারণে সারের দাম বাড়ছে। সেটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সচিব রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘বাজেটে এসব বিষয় আমলে নিলে সারের আমদানি বাড়বে। কৃষক পর্যায়ে দাম কমবে।’
এবার বাজেটে সেচের জন্য বিশেষ বরাদ্দের কথা বলেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। সরকার সেচ পাম্পগুলোকে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ বিলের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া কথা বলছে। তবে বাস্তবে বিদ্যুৎ বিভাগের গড়িমসির কারণে এ ছাড় খামারিরা পাচ্ছেন না। এ ছাড় আরও বাড়ানোসহ প্রান্তিক সব চাষির জন্য এটি কার্যকরের দাবি জানানো হচ্ছে।
কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাত ভালো নেই, চায় বেশকিছু সুবিধা
২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি ছুঁয়েছিল ১০০ কোটি ডলারের মাইলফলক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, তারপর এক বছর বাড়লেও পরবর্তীসময়ে কমেছে রপ্তানি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৩ কোটি ডলার। চলতি বছর প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৭৭ কোটি ডলার। রপ্তানি আয় এবারও মাইলফলক স্পর্শ করার সম্ভাবনা কম।
এ খাতের জন্য বাজেটে বরাদ্দ অপ্রতুল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগামীতে কাজ করতে হবে। দেশে-বিদেশে কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত পণ্যের মার্কেট বড় না হলে কোনোভাবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ঠিক একইভাবে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা কঠিন।
এমন অবস্থায় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন আসন্ন বাজেটে বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে ১৫ শতাংশ ভর্তুকি ২০ শতাংশ করে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে। এছাড়া ১০ শতাংশ উৎসে কর কর্তন রহিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
কৃষিশিল্পের উপকরণ আমদানির বিপরীতে অগ্রিম আয়কর ও পণ্য সরবরাহের বিপরীতে উৎসে কর থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। এছাড়া উৎসে কর কর্তন অব্যাহতির সীমা নির্ধারণ ও কর কর্তনের হার হ্রাসকরণ এবং ঠিকাদারের বিল পরিশোধকালে একটি নির্দিষ্ট হারে উৎসকর কর্তনের বিধান প্রবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
সংগঠনটি সুগার সিরাপ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আয়কর অব্যাহতি এবং কৃষি প্রক্রিয়াকরণে বিনিয়োগকারী করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ২৭ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স কমানোর দাবি জানিয়েছে। সঙ্গে রিফাইন সুগার, বিট সুগার, ফুড প্রিপারেশন, অ্যাসেপটিক প্যাকসহ আরও কিছু পণ্যের শুল্ক-কর যৌক্তিকরণের দাবি জানিয়েছে বাজেট প্রস্তাবে।
এসব বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ক্রমাগতভাবে কৃষিজাতপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির গতি কমছে। এছাড়া বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্ববাজারে আমরা অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে আছি। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক দাম বজায় রাখতে পারছি না।’
পার্শ্ববর্তী এসব দেশ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় গিয়ে পণ্যের উৎপাদন, শিপমেন্ট/বিতরণ খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক সময় রপ্তানিকারকরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। তাই কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়িয়ে আমদানি ও রপ্তানির ভারসাম্য রক্ষা এবং অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে এ শিল্পের জন্য নগদ ভর্তুকি সুবিধাসহ অন্য সুবিধা দরকার।
তাজা শাক-সবজি রপ্তানিও কমছে, প্রণোদণা বাড়ানো দরকার
বাংলাদেশ এখন প্রতিদিনই কাঁচামরিচ থেকে শুরু করে লাউ, কুমড়া, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, পেঁপে, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল, বরবটি, শিম, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বিশ্বের অনেকগুলো দেশে রপ্তানি করছে। তবে রপ্তানির পরিমাণ দিন দিন কমছে বলে দাবি রপ্তানিকারকদের।
এমন পরিস্থিতিতে তাজা সবজি ও ফলজাতীয় পণ্য রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালায়েড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) বাজেট প্রস্তাবে বলেছে, এখন তাজা কৃষিপণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে ২০ শতাংশ ছিল। এটি আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া দরকার। কারণ বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভারত ও পাকিস্তান পণ্যভিত্তিক আরও বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রণোদনা কম হওয়ার কারণে ওইসব দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
বিএফভিএপিইএ সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বেশ কিছু কারণে শাক-সবজি রপ্তানি কমেছে। এর মধ্যে প্রণোদনা কমানো একটি। অন্যদিকে আমাদের দেশে কার্গো ভাড়াও বেশি।’
এছাড়া বিএফভিএপিইএ কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সব সেবা একটি ওয়ানস্টপ সার্ভিসের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। যাতে পণ্য রপ্তানির সব সেবা এক ছাতার নিচে মেলে। তাতে রপ্তানিকারকদের হয়রানি ও সময় বাঁচবে।
এনএইচ/এএসএ/জিকেএস