ডিএনসিসির পরিত্যক্ত পণ্য কেনায় ‘গোড়ায় গলদ’

মুসা আহমেদ
মুসা আহমেদ মুসা আহমেদ
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ১২ মে ২০২৪
পরিত্যক্ত পণ্য ও মূল্যতালিকা/জাগো নিউজ
  • অর্থছাড় না করেই পরিত্যক্ত পণ্য কেনার ঘোষণা মেয়রের
  • নিজ পকেটের টাকা দিয়ে পরিত্যক্ত পণ্য কিনতে আগ্রহ কম কাউন্সিলরদের
  • বাকিতে পণ্য কিনছেন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর
  • কাউন্সিলর অফিস বন্ধ থাকলে কেনাকাটাও বন্ধ থাকে

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার বংশ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে অগ্রিম কিছু পদক্ষেপ নেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এরই অংশ হিসেবে ব্যাপক ঢাকঢোল পিটিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পণ্য, চিপসের প্যাকেট, ডাবের খোসা, টায়ার প্রভৃতি কেনার ঘোষণা দেয়। কিন্তু কর্মপন্থা পুরোপুরি না গুছিয়ে এনে তড়িঘড়ি করে ঘোষণা করায় অঙ্কুরের বিনাশের শঙ্কায় এ উদ্যোগ।

মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা যায়, এ কার্যক্রম পরিচালনায় যে তহবিল দরকার তা সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছায়নি। নিজ পকেটের টাকা খরচ করে তা কেনার আগ্রহ হারিয়েছেন কাউন্সিলররা। আবার দিনের নির্দিষ্ট সময় কাউন্সিলর অফিস বন্ধ থাকায় কেনাকাটাও বন্ধ থাকে। মানুষ পরিত্যক্ত পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে ফিরে যান। আর গুটিকয়েক যারা বিক্রি করতে যান তাদের অধিকাংশই টোকাই। সাধারণ মানুষের আগ্রহ নেই।

নাগরিকদের অভিযোগ, ডিএনসিসির ঘোষণা অনুযায়ী পরিত্যক্ত পণ্য বিক্রি করতে নিয়ে গেলে আগ্রহ দেখান না কাউন্সিলর অফিসের লোকজন। আবার কয়েকটি ওয়ার্ডে পণ্য কিনলেও টাকা দেওয়া হয় না। তহবিলে বরাদ্দ নেই জানিয়ে নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর লিখে রাখে। এ নিয়ে প্রতিটি মহল্লায় অসন্তোষ। ফলে ডিএনসিসির এ উদ্যোগ শুরুর আগেই মুখ থুবড়ে পড়ছে।

আপাতত আঞ্চলিক কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব পণ্য কিনতে কাউন্সিলরদের বলা হয়েছে। অর্থছাড় করা হলে যিনি যত টাকার পণ্য কিনেছেন, তাদের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।- মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম

তবে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতনদের দাবি, ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে পরিত্যক্ত পণ্য কেনা হচ্ছে। আপাতত কাউন্সিলর নিজ পকেট থেকেই টাকা দিচ্ছেন। শিগগির ডিএনসিসি থেকে অর্থছাড় করা হবে। তখন আঞ্চলিক কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কেনাকাটা চালিয়ে যাবে কাউন্সিলর অফিস। অর্থছাড় করার আগে কেন পরিত্যক্ত পণ্য কেনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়। আপাতত আঞ্চলিক কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব পণ্য কিনতে কাউন্সিলরদের বলা হয়েছে। অর্থছাড় করা হলে যিনি যত টাকার পণ্য কিনেছেন, তাদের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

ডিএনসিসির পরিত্যক্ত পণ্য কেনায় ‘গোড়ায় গলদ’

তিনি বলেন, ‘পরিত্যক্ত পণ্য কেনার পাশাপাশি ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে একযোগে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে আলাদা করে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, মসজিদের ঈমাম, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করবেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ করবেন। যাতে চলতি বছর আমরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারি।’

যে কারণে পরিত্যক্ত পণ্য কেনার উদ্যোগ


কীটতত্ত্ববিদের তথ্যমতে, খাল ও ড্রেনের ময়লা পানিতে এডিস মশা জন্মায় না। পরিত্যক্ত ডাবের খোসা, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, দইয়ের কাপ, টায়ার, কমোড, রঙের কৌটায় জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা জন্মায়। তাই এসব পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি কিনে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি।

গত ২২ এপ্রিল রাজধানীর মিরপুর রূপনগর এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব পণ্য কেনার ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এজন্য প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র জানায়, মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী চিপসের প্যাকেট বা সমজাতীয় প্যাকেট প্রতি পিস এক টাকা, আইসক্রিম, ডিসপোজেবল কাপ এক টাকা, ডাবের খোসা দুই টাকা, কনডেন্স মিল্কের কৌটা দুই টাকা, মাটি, প্লাস্টিক, সিরামিক, মেলামাইন তিন টাকা, অন্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি প্রতি কেজি ১০ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার প্রতি পিস ৫০ টাকা, পরিত্যক্ত পলিথিন প্রতি কেজি ১০ টাকা, পরিত্যক্ত স্যানিটারি ওয়্যার কমোড, বেসিন প্রতি পিস ১০০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই মূল্যতালিকা ডিএনসিসির প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এই মূল্যতালিকা অনুযায়ী পণ্য কিনছে কাউন্সিলর অফিস। পরে এসব পণ্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বর্জ্য পরিদর্শক আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে নিয়ে ফেলছেন।

অনেকেই চায়ের কাপ, পলিথিন, প্লস্টিকের ব্যবহৃত পণ্য কাউন্সিলর অফিসে বিক্রি করেছেন। বিনিময়ে নিজ পকেট থেকে তাদের টাকা দিয়েছি। কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে এখনো ওয়ার্ডে কোনো টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।- ওয়ার্ড কাউন্সিলর

৬ মে দুপুর ১১টা। ভাটারার কুড়িল মিয়াবাড়ি রোড। এ রোডের ক-১৮৫/৫ নম্বর হোল্ডিংয়ে ডিএনসিসির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয়। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় এক হাজার বর্গফুট আয়তনের এ কার্যালয়ের সামনে ছোট একটি ব্যানারে পরিত্যক্ত পণ্যের মূল্যতালিকা টাঙানো রয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থানীয় কাউকে পরিত্যক্ত পণ্য নিয়ে কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায়নি। ভেতরে এক কোণে কয়েকটি বস্তার ভেতর চায়ের কাপ, চিপসের প্যাক, পলিথিন স্তূপ করে রাখা।

ওয়ার্ড সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘মেয়রের ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার টাকার পরিত্যক্ত পণ্য কেনা শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার পণ্য কিনেছি। মহল্লার টোকাইরাই তা বিক্রি করছে।’

ডিএনসিসির পরিত্যক্ত পণ্য কেনায় ‘গোড়ায় গলদ’

তবে ৭ মে যোগাযোগ করা হলে ভিন্ন কথা বলেছেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তার ওয়ার্ডে এক লাখ টাকার বেশি পরিত্যক্ত পণ্য কেনা হয়েছে। এখনো সিটি করপোরেশন থেকে এক টাকাও পাননি। সব নিজের পকেটের টাকা দিয়েই কিনছেন।

ঢাকা শহরের অন্যতম অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশান-১, গুলশান-২, বনানী নিয়ে গঠিত ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। এছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের বাসস্থান কড়াইল বস্তিও এ ওয়ার্ডের আওতাধীন। বিশাল এ ওয়ার্ডে পরিত্যক্ত বর্জ্য কেনা হয় বনানী কাঁচাবাজার ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত কাউন্সিলর কার্যালয়ে। তবে ৬ মে সরেজমিনে এ কার্যালয়ে গিয়ে পরিত্যক্ত পণ্য কেনার কোনো আলামত দেখা যায়নি। শুধু কার্যালয়ের সামনে ছোট একটি ব্যানারে পণ্যের মূল্যতালিকা দেখা যায়।

ওয়ার্ড সচিব আলাউদ্দিন জানান, সবশেষ গত ১ মে স্থানীয় কাউন্সিলর ৫৮০ টাকায় পরিত্যক্ত পণ্য কিনেছিলেন। এর আগে কয়েক দফায় তা কেনা হয়। অনেকেই সন্ধ্যার পর পণ্য নিয়ে কাউন্সিলর কার্যালয়ে যান। ওই সময় কার্যালয় বন্ধ থাকায় তা কেনা সম্ভব হয় না।

১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘গুলশান-বনানী এলাকা দেশের অন্যতম অভিজাত আবাসিক এলাকা। এখানে সাধারণত কেউ রাস্তাঘাটে পলিথিন, প্লাস্টিক ফেলেন না। তারপরও মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী পরিত্যক্ত বর্জ্য কিনতে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছি। অনেকেই চায়ের কাপ, পলিথিন, প্লাস্টিকের ব্যবহৃত পণ্য কাউন্সিলর অফিসে বিক্রি করেছেন। বিনিময়ে নিজ পকেট থেকে তাদের টাকা দিয়েছি। কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে এখনো ওয়ার্ডে কোনো টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। আর একটি ওয়ার্ডে মাত্র একটি ‘কালেকশন পয়েন্ট’ থাকায় মানুষের মধ্যেও আগ্রহ কম।’

বনানী, গুলশান, মহাখালী এলাকায় রাস্তাঘাটে ঘুরে বড় প্লাস্টিকের বস্তা কাঁধে নিয়ে পানির বোতল, কাগজ, পলিথিন সংগ্রহ করে কড়াইলে ভাঙারির দোকানে তা বিক্রি করে পথশিশু আশফাক (১৪)। কিন্তু এসব পণ্য সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর অফিসে কেনা হয়, এ তথ্য আশফাক জানে না।

মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকায় চার বছর ধরে ভাঙারির দোকান চালান আতাহার হোসেন। তিনি জানান, তার দোকানে বিভিন্ন এলাকা থেকে মালামাল নিয়ে আসে টোকাইরা। এর মধ্যে প্লাস্টিকের বোতল ৮০ টাকা কেজি, রিসাইকেল করা যায় এমন পলিথিন ৩০ টাকা কেজি, কাগজ ৩০ টাকা কেজি ধরে কেনেন। এর বাইরে লোহা, স্টিলের ভাঙা অংশও কেনেন। তবে আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, মাটি, সিরামিক, মেলামাইনের কোনো পাত্র কেনেন না বলে জানান তিনি।

উত্তরার ফায়দাবাদ, কোটবাড়ী, মৌশাইর ও চালাবন এলাকা নিয়ে ডিএনসিসির ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড। গত ২২ এপ্রিল থেকে এ ওয়ার্ডে পরিত্যক্ত পণ্য কিনছেন কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম। তবে এখন পর্যন্ত বিক্রেতাদের কাউকে টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ফায়দাবাদ এলাকার বাসিন্দা হাসান জামান বলেন, ‘ডিএনসিসি মেয়রের ওই ঘোষণার পর এলাকার অনেক টোকাই, গৃহকর্মী, পরিত্যক্ত পলিথিন, প্লাস্টিক সংগ্রহ করছেন। অনেক চায়ের দোকানি নিজ দোকানের ব্যবহৃত চায়ের কাপ, পলিথিনও বস্তায় ভরে কাউন্সিলর অফিসে দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের কাউকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।’

জানতে চাইলে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুল ইসলাম নাঈম বলেন, ‘ডিএনসিসি থেকে অর্থছাড় না করায় কাউকে টাকা দিতে পারছি না। তবে যারা যারা কাউন্সিলর অফিসে পরিত্যক্ত পণ্য জমা দিচ্ছেন, দিন-তারিখ দিয়ে তাদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর তালিকা করে রাখা হচ্ছে। করপোরেশন থেকে টাকা পেলে সবাইকে ডেকে নিয়ে টাকা বিতরণ করা হবে।’

অর্থছাড় না করে কেন ব্যবহৃত পরিত্যক্ত পণ্য কেনা হচ্ছে তা জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেয়রের ঘোষণার পরপরই অর্থছাড় করতে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছি। তবে দাপ্তরিক বিভিন্ন কারণে টাকা এখন পর্যন্ত ছাড় হয়নি। আর এ টাকাটা কাউন্সিলরের হাতে সরাসরি যাবে না। এ টাকা সংশ্লিষ্ট আঞ্চলের দপ্তরে যাবে।’

‘পরে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা কাউন্সিলরের সঙ্গে সমন্বয় করে টাকাটা ব্যয় করবেন। এখন কাউন্সিলররা নিজ পকেট থেকেই কিনছেন। তাদের হিসাব রাখতে বলা হয়েছে। অর্থছাড় হলে আঞ্চলিক কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা টাকা নিতে পারবেন।’

এডিস নিয়ন্ত্রণে দরকার জনসচেতনতা


গত ৬ মে কুড়িল প্রগতি সরণিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও মশক নিধন অভিযান চালায় ডিএনসিসি। এ অভিযানে গিয়ে ট্রাকে উঠে এডিস মশার উৎসস্থল- গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলো দেখিয়ে জনগণকে সচেতন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় তিনি প্রগতি সরণি এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘কীটতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, এডিস মশা বাড়ির আঙিনা, বারান্দা, ছাদে পরিত্যক্ত পাত্রে স্বচ্ছ পানিতে জন্মায়। কিন্তু প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তো মশা নিধন করা সম্ভব নয়। তাই এডিস নিধনে নাগরিকদের জনসচেতনতার বিকল্প নেই। তারই অংশ হিসেবে পরিত্যক্ত পণ্য কেনা হচ্ছে। আবার একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করেছি। ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে আছেন। কারও বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।’

এমএমএ/এএসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।