বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ০৬ মে ২০২৪

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

এদিন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিংয়ের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেবিনেটের কথা তো কেবিনেটে চলে গেছে। এটা তো বাইরে বলা যাবে না।

লোডশেডিং নিয়ে সারাদেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সারাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষত ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থ স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলো নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

আরও পড়ুন

নসরুল হামিদ বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলো সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।

এর ফলে কি শহরে লোডশেডিং বাড়বে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে অন্য জায়গায় দেওয়ার ব্যবস্থাটা করতে হবে। তবে আমি মনে করি আগের থেকে ভালো অবস্থায় এখন আমরা আছি।

jagonews24

গ্রামে তো প্রতিনিয়ত লোডশেডিং করা হচ্ছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এখন (লোডশেডিং) কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজ যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং। ধীরে ধীরে কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখা ছিল। কারণ, জ্বালানি তেলের স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। যে কারণে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো (লোডশেডিং) প্রথম দিকে ছিল। এখন ৫০০ থেকে জিরোর দিকে চলে আসছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এটি ভালোর দিকে যাবে।

তেলের সমস্যা কেটেছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেওয়ার। বিপিসি থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটারই ব্যবস্থা চলছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু টাকা ছাড় করেছে, সেটা কি পাওয়া শুরু করেছেন- জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, আমরা কিছু কিছু পাচ্ছি। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন, এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।

তিনি বলেন, আমাদের জেনারেশনে যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম আমরা সে পর্যন্ত গিয়েছি। তার উপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে। সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। উনি সবসময় নির্দেশনা দিয়ে গেছেন লোডশেডিং করা যাবে না, লোডশেডিংমুক্ত রাখতে হবে।

আরএমএম/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।