সুন্দরবনের আগুন ‘বুশ ফায়ার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৮ পিএম, ০৫ মে ২০২৪

২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সুন্দরবনে লাগা আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। তবে রোববার (৫ মে) সকাল থেকে নৌ ও বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ডসহ সব বাহিনীর প্রচেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি বন বিভাগের।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে তারা। এরমধ্যে পানির উৎস থেকে আগুনের দূরত্ব স্থানভেদে ২.৫ কিলোমিটার এবং চলাচলের রাস্তা দুর্গম।

এছাড়া পাম্প বসানোর মতো কোনো জায়গা না থাকায় নৌকায় পাম্প বসিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না যায় সেজন্য অগ্নিদুর্ঘটনা পানি দিয়ে সংকুচিত করা হয়েছে বলেও দাবি ফায়ার সার্ভিসের।

সুন্দরবনের আগুন ‘বুশ ফায়ার’

রোববার (৫ মে) ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাজাহান শিকদার এসব তথ্য জানান।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, রোববার সকাল ৬টা থেকে ৬টি ফায়ার পাম্পের মাধ্যেমে রিলে সিস্টেম বজায় রেখে সুন্দরবন সংলগ্ন খাল থেকে পানি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তবে পাম্প বসানোর মতো কোনো জায়গা না থাকায় নৌকায় পাম্প বসিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না যায় সেজন্য অগ্নিদুর্ঘটনা পানি দিয়ে সংকুচিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আশপাশের পানির একমাত্র উৎস ভোলা ও শেওলা নদী।

অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ও কর্মচারীসহ মোট ৫৫ জন কাজ করছেন। এছাড়া ভলান্টিয়ার প্রায় ২৫০ জন অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে।

এছাড়াও জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, জেলা পুলিশের সদস্যরা পুরো সময়ব্যাপী অগ্নিনির্বাপণে বিশেষভাবে নিয়োজিত ছিল।

সুন্দরবনের আগুন ‘বুশ ফায়ার’

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একটি বুশ ফায়ার (দাবানল) উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে এখনো আগুন ছড়িয়ে আছে। অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি প্রায় ২ বর্গ কিলোমিটার।

তিনি বলেন, এখনো ধোঁয়া বিদ্যমান। জীবজন্তু এবং ঘন বনের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা যায় না। অগ্নি নির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও নেই। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সকল ইকুইপমেন্ট হ্যান্ড ক্যারি করে সুন্দরবন এলাকায় নেওয়ার পর নৌকায় স্থাপন করে অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করা হচ্ছে।

শাজাহান শিকদার আরও বলেন, জেলা প্রশাসন নিরাপত্তাজনিত কারণে রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে আবারও অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

টিটি/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।