সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসছে। এতে স্বাস্থ্যসেবার গুণমান আরও বাড়বে।
বুধবার (১ মে) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে ‘বাংলাদেশ লাইভ ২০২৪ আইপিডিআই কার্ডিয়াক ভাস্কুলার কনফারেন্সে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল বিজ্ঞান-বিশ্বে একধাপ এগিয়ে’। এসময় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মরহুম আবু জাফর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মরহুম মো. আমানউল্লাহ এবং সিঙ্গাপুর হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ট্যান হুয়েই চিমকে কার্ডিওলজিতে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ কনফারেন্সের আয়োজন বাংলাদেশে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করেছে। আশা করছি, স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটালাইজেশন দেশে হৃদরোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।
আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. মো. তৌহিদুজ্জামান এবং অধ্যাপক একেএম মহিউদ্দিন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল শফি মজুমদার, অধ্যাপক আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পরিচালক ডা. মীর জামাল উদ্দিন এবং হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান।
স্বাগত বক্তব্যে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মহসীন আহমদ জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে শহরের অধিবাসী পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই আইপিডিআই তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। হৃদরোগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আয়োজনটি করা হয়েছে। যাতে নতুনরা বিজ্ঞদের কাছ থেকে হৃদরোগ বিষয়ে সময়োপযোগী ধারণা নিতে পারেন এবং তার ভিত্তিতে মাঠ-পর্যায়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। অনুষ্ঠানে সেসব বিশেষ দিক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আলোচনা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে আইপিডিআয়ের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগ প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এসেছে। এছাড়া তরুণ চিকিৎসকদের পেশাগত উন্নয়নে নিয়মিতভাবে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছে। আজকের এ আয়োজনও সেইসব কাজের একটি অংশ। আমাদের উদ্দেশ্যে হৃদরোগে সাধারণ মানুষের উন্নত সেবাদানে জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তুলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
হেলোর সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান বলেন, যে উদ্দেশ্যে সবাই একত্রিত হয়েছেন। বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনা ও অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ থেকে বুঝা যাচ্ছে, আয়োজনটি সফল হয়েছে। তবে এটি বাস্তব সফল হবে দেশের সাধারণ মানুষের উপকার লাভের মাধ্যমে। হেলো ও আইপিডিআই জনকল্যাণমূলক এ কাজ সামনের দিনে আরও গুরুত্বসহ অব্যাহত রাখবে।
এমএএস/এমএএইচ/জিকেএস