উল্টোপথে গাড়ি চলাচল বন্ধে সফল প্রতিরোধক যন্ত্র


প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

উল্টোপথে গাড়ি চলাচল বন্ধে ডিএমপি’র প্রতিরোধক যন্ত্র এবার সফলতার মুখ দেখেছে। রাজধানীতে যানজট নিরসন ও দুঘর্টনা এড়াতে উল্টোপথে যানবাহন চলাচল বন্ধে গত ২৩ মে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দফতরের সামনের রাস্তায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম প্রতিরোধক যন্ত্র বসানো হয়।

তবে ৩ দিন না যেতেই প্রতিরোধক যন্ত্রের দাঁত যায় ভেঙ্গে অচল হয়ে যায় যন্ত্রটি। পরে তা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ট্রাফিক বিভাগ। এরপর গত ২২ নভেম্বর আবারও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দফতরের সামনের সড়কে বসানো হয় প্রতিরোধক যন্ত্রটি।

শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ডিএমপি সদর দফতরের সামনের রাস্তার উপর বসানো প্রতিরোধক যন্ত্রের উপর দিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ি চলাচল করছে। তবে কৌশল অবলম্বন করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। প্রতিরোধক যন্ত্রের দাঁত যেন ভেঙ্গে না যায় সে জন্য ৩ ফুট দূরে বসানো হয়েছে আলাদা স্পিড ব্রেকার (গতিরোধক)। ফলে দূর থেকে গাড়ি গতিতে আসলেও প্রতিরোধক যন্ত্রের সামনে এসে গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে চালকরা।

ঢাকার রাজপথে উল্টো দিকে যানচলাচল ঠেকাতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিরোধক যন্ত্র বসানো হয়েছে। এর ফলে নিয়ম লঙ্ঘন করে কেউ উল্টোপথে চলতে গেলেই গাড়ির টায়ার বা টিউব ফুটো হয়ে যাবে। এবারের প্রতিরোধকযন্ত্রটি বেশি শক্তিশালী বলে দাবি ট্রাফিক পুলিশের।

এব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) খান মোহাম্মদ রেজোয়ান জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতিরোধ যন্ত্রটি’ একটি স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস। আমরা প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্রটি চালু করি। পরে যানবাহনের ওজনের চাপে পড়ে যন্ত্রের দাঁত যায় ভেঙ্গে। পরে এটি আরো শক্তিশালী করে পুনরায় চালু করা হয়েছে। এবার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিভাইসিটি চালু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ডিভাইসটি টেকসই হচ্ছে কিনা এবং উল্টোপথে চলা গাড়ির টায়ার ফুটো করতে পারছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজধানীতে অবৈধভাবে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা রোধে সহায়তা এবং যানজট কমাতে প্রতিরোধক যন্ত্রটি দ্বারা দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল পাওয়া গেলে শহরের বিভিন্ন সড়কে যন্ত্রটি স্থাপন করা হবে। এব্যাপারে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাথে কথা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, প্রতিরোধ যন্ত্রটির ধারালো কাঁটা ৪৫ মিলিমিটার পরপর রাস্তার ওপর ৩ ইঞ্চি উঁচু হবে। সোজা পথে চলা গাড়ির চাকা চাপ দিলেই তা নিচু হবে। গাড়ি যাওয়ার পরপরই কাঁটাগুলো দাঁড়িয়ে যাবে আবার। উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ি কাঁটার ওপর চাপ দিলেই তার সুচালো অগ্রভাগ চাকার ভেতর ঢুকে যাবে এবং টায়ার ফুটো করে দেবে। প্রতিরোধক যন্ত্রটি স্পিড ব্রেকার হিসেবে কাজ করবে। এর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হবে ধীরগতিতে।

যন্ত্রের প্রতিটি ধারালো কাঁটায় আলাদা আলাদাভাবে স্প্রিংয়ের চাপ রয়েছে। ফলে এক বা একাধিক কাঁটা চেপে ধরলেও বাকিগুলো নামবে না। প্রতিটি কাঁটাকে নিচু করতে ৮-১০ কেজি প্রেসারের প্রয়োজন হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।