টোল আগে না জীবন আগে?

তৌহিদুজ্জামান তন্ময়
তৌহিদুজ্জামান তন্ময় তৌহিদুজ্জামান তন্ময় , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
জাগো নিউজ গ্রাফিক্স

১১ এপ্রিল। ঈদের দিন বিকেল। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী একটি প্রাইভেটকারে হঠাৎ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট যাওয়ার সময় এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আটকে দেওয়া হয়। টোল না দেওয়ায় এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয়নি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। পরে বিকাশ থেকে অনলাইনে টোল পরিশোধ করে ছাড় পায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। কেটে যায় ১০ মিনিট। ততক্ষণে পুড়ে ছাই প্রাইভেটকারটি।

২০১৯ সালের ৭ জুন আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও টোলের টাকার জন্য আটকে দেয় বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ। সে সময় বাসের আগুন না নিভিয়েই ফিরে আসতে বাধ্য হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

নৌ-দুর্ঘটনার জন্য উদ্ধার কাজে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও ফেরি ভাড়া দিয়েই ফেরিতে ওঠার রেকর্ড রয়েছে। অন্য দু-একটি সেতুতেও ঘটেছে টোল ছাড়া না পার হতে দেওয়ার ঘটনা। দুর্ঘটনা কিংবা জানমালের ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে যেখানে জরুরি সেবার এ গাড়ি আটকে রেখে টোল আদায় হয়ে উঠেছে মুখ্য।

টোল আগে না জীবন আগে?

অথচ ২০১৪ সালের বাংলাদেশ সরকারের গেজেটের ২০৬৩৯ এর ৪(খ) নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি যানবাহন হিসেবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোলমুক্ত থাকবে। কিন্তু এতদিনেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

আগুন কিংবা দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে গিয়ে যদি টোল পরিশোধ করা লাগে তা দুঃখজনক। আগুন কারও জন্য এক মিনিট দেরি করবে না। টোল পরিশোধ করতে দেরি হওয়ার কারণে হতাহতের সংখ্যা কিংবা আগুন লাগলে তা ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা থাকে।- ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম

ফায়ার সার্ভিস একটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। আগুন লাগা, নৌকাডুবি, ভূমিকম্প, কোনো ভবনধস কিংবা কোনো বড় দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসই সবার আগে ছুটে যায়। এমনকি কোনো জাহাজ বা লঞ্চ যখন দুর্ঘটনায় পড়ে তখনও এই ফায়ার ফাইটাররাই ছুটে যায়। জীবনবাজি রেখে মানুষের কল্যাণে কাজ করে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সেতু ও ফেরি পার হয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যখন অগ্নিনির্বাপণ কিংবা উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে যায় তখন টোল প্লাজায় টোল পরিশোধ করতে হয়। এতে ব্যাহত হয় উদ্ধার কার্যক্রম। বাড়তে থাকে জানমালের ক্ষতি। এ নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও সমাধান হয়নি এখনো।

টোল আগে না জীবন আগে?

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, বঙ্গবন্ধু সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নারায়ণগঞ্জের মুরাদপুর সেতু, আরিচা ও পাটুরিয়ার ফেরি পারাপারের আগে নির্দিষ্ট বুথে টাকা পরিশোধ করা কিংবা টিকিট কাটা লাগে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে। দুর্ঘটনার পরিস্থিতি যেমনই হোক এতে ছাড় দেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়ি টোলের আওতামুক্ত রাখার নির্দেশনা যদি থাকে তা মানতে বাধ্য। তবে কী কারণে মানা হচ্ছে না সেটা বলতে পারেনি সেতু কর্তৃপক্ষ।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, সেবাদানকারী সরকারের প্রতিষ্ঠান হিসেবে যদি সরকারকে টোল দিতে হয় সেটি দুর্ভোগ ছাড়া কিছু নয়। টোল পরিশোধ করতে গিয়ে যে সময় ব্যয় হয় তাতে জীবন ও সম্পদহানি বেড়ে যায়।

এক্ষত্রে বঙ্গবন্ধু টানেল কর্তৃপক্ষ ভিন্ন উদ্যোগ নিলেও এখনো পর্যন্ত সুখবর নেই। জরুরি দায়িত্ব বা অপারেশনাল কার্যক্রম চলাকালে জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষ। ফলে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনীর যানবাহন জরুরি প্রয়োজনে টানেলের ভেতর টোল ছাড়া চলাচল করতে পারবে। গত ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ নগরীর পতেঙ্গায় টানেল সাইট অফিসে ‘নিরাপত্তা ও সুরক্ষা’ বিষয়ক এক সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

টোল আগে না জীবন আগে?

তবে ফায়ার সার্ভিস থেকে জানা যায়, সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল মওকুফের অফিসিয়াল চিঠি পায়নি ফায়ার সার্ভিস।

আরও পড়ুন

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (চট্টগ্রাম) দিনমনি শর্মা জাগো নিউজকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিসের টোল মওকুফ করেছে বলে পত্রিকায় সংবাদ পড়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত অফিসিয়াল নির্দেশনা আমরা পাইনি। টোল দিতে গিয়ে আমাদের গাড়ি বিলম্ব করার অর্থ জীবন ও সম্পদহানি বাড়বে।’

দেশের যে কয়টি সেতুতে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতেও ফায়ার সার্ভিসকে টোল দিতে হয় কিংবা টোলের জন্য আটকে থাকতে হয় তার মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু একটি।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু সাইট অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস কিংবা পুলিশের গাড়িগুলোকেও টোল দিতে হয়। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে টোল না দিলেও মাস শেষে রেকর্ড দেখে সংশ্লিষ্টদের বিল করে টোলের টাকা আদায় করা হয়।’

ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোল দিতে হয়, বিষয়টি তারা আমাদের কখনও জানায়নি। টোলের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানালে এ বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (অগ্নি অধিশাখা) জাহিদুল ইসলাম

বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার কিংবা সেতুতে আগুন অথবা উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গেলেও সেতুতে টোল পরিশোধ করা লাগে ফায়ার সার্ভিসকে। ২০১৯ সালে টোলের জন্য গাড়ির আগুন না নিভিয়ে ফেরত যাওয়া সেই ঘটনা সবারই জানা।

টোল আগে না জীবন আগে?

জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ওয়েস্কেল) মো. শেখ ফরিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির টোল বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি পরিশোধ করে বিল করে দেয়।’

পদ্মা সেতুতে উঠলেও টোল দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সেতুর টোলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। পদ্মা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী (টোল, ব্রিজ অ্যান্ড বিইএফ ও রোড আরটিডব্লিউ অ্যান্ড বিল্ডিং) (অতিরিক্ত দায়িত্ব) লক্ষ্মী কান্ত হালদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে রাষ্ট্রপতি ছাড়া যে কাউকে টোল দিতে হবে। এছাড়া আগুন নেভাতেও যদি ফায়ার সার্ভিসের কোনো গাড়ি পদ্মা সেতুতে ওঠে তবুও টোল দিতে হবে। পদ্মা সেতুর টোল বুথের সফটওয়্যার রয়েছে, যে কোনো গাড়ি বুথে এলেই টোল দেওয়া বাধ্যতামূলক।’

বাংলাদেশ সরকারের গেজেটে উল্লেখ রয়েছে- সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়ির টোল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এমন কোনো নির্দেশনা আপনাদের রয়েছে কি না জানতে চাইলে পদ্মা সেতু সাইট অফিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন কোনো অর্ডার আমরা এখনো পাইনি।’

ফেরিতে উঠে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে গেলেও ফায়ার সার্ভিসকে ফেরি ভাড়া দিতে হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের আরিচা আঞ্চলিক অফিসের সহ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ফেরিতে যেসব গাড়ি ওঠে সব ধরনের গাড়ির ফেরি চার্জ (ভাড়া) দেওয়া লাগে।’

টোলের টাকা কীভাবে পরিশোধ করা হয় সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার মোহাম্মদ বজলুর রশিদের কাছে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতিটি স্টেশনের বাজেট থাকে, সেই বাজেট থেকে এই টোলের টাকা পরিশোধ করা হয়।’

এ বিষয়ে কথা হলে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রশাসন অনুবিভাগের প্রটোকল কাম পাবলিক রিলেশন্স অফিসার মো. মাসুদ রানা শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে টোল বুথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়িগুলো যদি টোলের আওতামুক্তের নির্দেশনা থাকে তাহলে মানতে বাধ্য। কী কারণে মানা হচ্ছে না সেটা আমি বলতে পারবো না।’

টোল আগে না জীবন আগে?

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ পর্যন্ত কোনো টোল প্লাজায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোল ছাড়া প্রবেশ করতে পারেনি। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল ও এক্সপ্রেসওয়ে- এই চারটি জায়গায় এখন পর্যন্ত টোল পরিশোধ করেই আমাদের কার্যক্রম চলে। এর আগে আমরা চিঠিও দিয়েছি এসব কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তারা টোলের বিষয়ে শিথিল হয়নি।’

যারা বলছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোল ছাড়া সেতুতে প্রবেশ করে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও দাবি করেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আগুন কিংবা দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে গিয়ে যদি টোল পরিশোধ করা লাগে তা দুঃখজনক। আগুন কারও জন্য এক মিনিট দেরি করবে না। টোল পরিশোধ করতে দেরি হওয়ার কারণে হতাহতের সংখ্যা কিংবা আগুন লাগলে তা ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে অন্তত ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো টোলের আওতামুক্ত করা জরুরি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন সেতু ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ফ্লাইওভারগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত টোল আদায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী একেক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একেক রকম। এই দ্বৈততা নাগরিকের জরুরি সেবায় বিলম্ব ঘটায়। ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমানো ও মানুষকে প্রাণে বাঁচানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। অথচ পদ্মা সেতু ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশকিছু সেতু ব্যবহারে টোল দিতে হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে যার প্রয়োজন ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একই নিয়ম বহাল রাখার সংস্কৃতি চালু রাখা প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো ও জীবনকে ঝুঁকিমুক্ত করার কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারে। টোলের নাম করে ও নিয়মের দোহাই দিয়ে সেবায় বিলম্ব ঘটানো আধুনিক সময়ে এক ধরনের অপরাধ।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (অগ্নি অধিশাখা) জাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোল দিতে হয়, বিষয়টি তারা আমাদের কখনও জানায়নি। টোলের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানালে এ বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

টিটি/এএসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।