বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত জানালো ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামের বহুতল ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়। ঘটনার পর ভবনটি পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্তে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হিসেবে সম্ভাব্য একাধিক কারণ উল্লেখ করে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা।
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্তকালীন এ ঘটনায় আসামিরা পলাতক থাকায় তদন্তে বিলম্বের কথা জানায়েছিল ফায়ার সার্ভিস।
তবে ফায়ার সার্ভিসের তদন্তে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ বের হয়ে এসেছে। তদন্ত শেষে সংস্থাটি বলছে, ভবনটির নিচতলার ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। এছাড়া ভবনে গ্যাস জমে থাকায় সেই আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন
- বেইলি রোডের আগুনে ৪৬ মৃত্যু, অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে মামলা
- কর্মচাঞ্চল্য ফিরলেও নীরবে দাঁড়িয়ে গ্রিন কোজি কটেজ
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের তদন্ত রিপোর্টে আগুন লাগার কারণ হিসেবে চুলার আগুন ও গ্যাসের কথা এসেছে। চুলা থেকে আগুন ধরার পর জমে থাকা গ্যাসের কারণে সেটি ভবনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় আগুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে প্রথমে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- চা-কফির দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং কাচ্চি ভাই নামে আরেকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসান।
আরও পড়ুন
- মৃত্যুই বেইলি রোডে ডেকে নিয়ে যায় কাস্টমস কর্মকর্তা শাহ জালালকে
- মা-মেয়ের স্বপ্ন পুড়ল বেইলি রোডের আগুনে
এরপর আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
টিটি/এমকেআর/জিকেএস