গরমে বেড়েছে ডাব-শরবতের চাহিদা
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। সূর্যের প্রখর তাপ ও গরমে নাকাল জনজীবন। মাঝেমধ্যে গায়ে বাতাস লাগলেও তা যেন আগুনের হল্কা।
এরইমধ্যে চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীতেও ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা।
তীব্র গরমেও কর্মজীবীদের বাইরে বের হতেই হচ্ছে। গরমে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে। তাই কিছুটা স্বস্তি পেতে নগরীতে বেড়েছে ডাব ও শরবতের চাহিদা।
বেড়েছে ডাবের চাহিদা
আরও পড়ুন>
- চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৩, হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২.৬ ডিগ্রি, ঢাকায় ৪০ পার
শনিবার (২০ এপ্রিল) নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। নগরীর ধানমন্ডি এলাকায় মানভেদে প্রতিটা ডাব ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার এলাকায়ও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডাব। প্রকারভেদে প্রতিটা ডাবে ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন গরমে আড়তেই ডাবের দাম বাড়তি।
ডাব বিক্রেতা মোহাম্মদ জহির বলেন, গরম যত বাড়বে ডাবের দাম তত বাড়বে। আড়তেই দাম বাড়তি। আমরা কারওয়ান বাজার থেকেই বাড়তি দামে ডাব কিনেছি।’
শরবতের দোকানে ভিড়
নগরীর আগারগাঁও এলাকায় প্রতি গ্লাস আখের রস ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরমের কারণে বেচাকেনাও বেড়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
আখের রস বিক্রেতা মামুন বলেন, আগে সারাদিনে দুই হাজার টাকার শরবত বিক্রি হতো না। এখন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার শরবত বিক্রি করছি।
এছাড়া তকমা দানা, ট্যাং, লেবু, আপেল, চেরিফল দিয়ে এক ধরনের শরবত বিক্রি হচ্ছে নগরীতে। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ১০ টাকা। ডাবের মূল্যবৃদ্ধি হলেও শরবত আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
এমওএস/এসআইটি/এএসএম