সদরঘাটে ৫ জনের মৃত্যু
দুই লঞ্চের চালক-ম্যানেজারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সদরঘাটে দুর্ঘটনায় পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুই লঞ্চের চার মাস্টার ও এক ম্যানেজারকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। অবহেলা ও বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার এজাহারে।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন- এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪) এবং এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭৬)।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জাগো নিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাতে ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার এজাহারে অবহেলাজনিত বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন
- ফারহান ও তাসরিফ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল
- ঈদের দিন বাড়ি ফেরা হলো না একটি পরিবারের
- ঈদের উৎসব রূপ নিলো বিষাদে, সদরঘাটে ঝরলো ৫ প্রাণ
এর আগে ঈদুল ফিতরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে লঞ্চে ওঠানামার দড়ি ছিঁড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন- মো. বেলাল (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের শিশুসন্তান মাইসা (৩)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। নিহত অন্য দুজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউলও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।
এদিকে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ দুটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির নমিনির কাছে দাফন-কাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
টিটি/বিএ/এমএস