সদরঘাটে ৫ যাত্রীর মৃত্যু
ফারহান ও তাসরিফ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ দুটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম-সচিব এবং সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) মো. সেলিম ফকির জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির নমিনির কাছে দাফন-কাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিকেলে সদরঘাটে এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ দড়ি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এসময় এমভি ফারহান-৬ লঞ্চটি পার্কিং করার জন্য ওই দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ঢুকলে ধাক্কা লেগে এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চটির বেঁধে রাখার দড়ি ছিঁড়ে যায়। এতে পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
সেলিম ফকির বলেন, ঘটনার পর পরই লঞ্চ দুটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ থেকে আমরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সতর্ক আছি। এ বিষয়ে যা যা করণীয় আমরা করবো।
এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন- মো. বেলাল (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের শিশুসন্তান মাইসা (৩)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। নিহত অন্য দুজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউলও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।
আরএমএম/এমকেআর/জেআইএম