ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, এ বছর আমরা এমন একটা সময়ে ঈদ উদযাপন করছি যখন ফিলিস্তিনে হাজার হাজার মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে, বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরছে। শত শত এতিম শিশু এক টুকরো রুটির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে। যুদ্ধবিগ্রহ ও আধিপত্যের কারণে বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত করছে। একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা। ঈদ আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বঙ্গভবনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের মধ্যে সমাগত। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি ঈদের এ আনন্দ যেন সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আমি দেশবাসীকে ধনী-গরিব নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে মিলেমিশে উপভোগের আহ্বান জানাচ্ছি। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- এ প্রত্যাশা করি।
ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা-ইসলামের এ সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায় কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না- সবাইকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়। তাই ঈদের আনন্দ থেকে আমাদের পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি যাতে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে। ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই হোক এবারের ঈদুল ফিতরে আমাদের অঙ্গীকার। সবাইকে আবারও ‘ঈদ মোবারক’।
এসইউজে/এমএএইচ/এএসএম