সদরঘাটে দেরিতে লঞ্চ ছাড়ার অভিযোগ যাত্রীদের
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরে ফিরছে মানুষ। শেষ দিনের যাত্রায় লঞ্চঘাটে নেই বাড়তি চাপ। তবে ঢাকা-চরফ্যাশন রুটের কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চটি যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি না ছাড়ায় যাত্রীরা হট্টগোল শুরু করেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছেড়ে যায় লঞ্চটি।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টায় লঞ্চটিতে বাকবিতণ্ডায় জড়ান যাত্রী ও লঞ্চের স্টাফরা।
যাত্রীরা এসময় অভিযোগ করেন যাত্রী বোঝাই হওয়ার পরও লঞ্চটি ছাড়ছে না। অন্যদিকে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দাবি করেন তাদের লঞ্চটি ছাড়ার শিডিউল রাত আটটায়। এতো দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়।
আরও পড়ুন>>
- শেষ দিনের ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়ার অভিযোগে বাকবিতণ্ডা
- শেষ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ
লঞ্চটির যাত্রী আজিজুল মিয়া জাগোনিউজকে বলেন, আমরা রাত তিনটা থেকে এইহানে লঞ্চে অপেক্ষা করতাছি। তহন কয়নায় লঞ্চ কহন ছাড়ব। সকালে আরেকটা লঞ্চ ছাইড়া গেলো তহনও কিছু কয় নায়। এহন কয় রাত আটটায় লঞ্চ ছাড়ব। এইডা কোন কথা কন আপনারা? যাত্রীতে লঞ্চডা ভইরা গেছে। অথচ ওরা কয় রাইতে ছাড়ব।
লঞ্চের স্টাফ মিরাজ হোসেন জানান, আমাদের লঞ্চ ছাড়ার সময় রাত আটটা। যাত্রীরা উঠে বসে আছে ভোর থেকে। এখন যারা কেবিন বুকিং করে রেখেছে তাদের ছাড়া আমরা কিভাবে লঞ্চ ছাড়ব, তারা তো জানে রাতে ছাড়বে লঞ্চ। এখন যাত্রীরা ঝামেলা শুরু করছে।
পরে বিআইডব্লিউটিএ'র কর্মকর্তারা ও কোস্টগার্ড দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক লঞ্চ ছাড়ার দাবিতে অনড় থাকলে কর্তৃপক্ষ লঞ্চটি দ্রুত ছাড়ার তাগিদ দেন। এরপর লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ১০ মিনিট সময় নেন। পরে যাত্রীরা রাজি হলে সে অনুযায়ী ১১টা ১০ মিনিটে লঞ্চটি টার্মিনাল ছেড়ে যায়।
লঞ্চটি ছাড়লে যাত্রীরা উল্লাস করতে থাকেন। এসময় তারা এক সুরে বলতে থাকেন ঈদ মুবারক।
আইএইচআর/এসআইটি/জেআইএম