ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪৬ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৪
মিরপুর-১০ নম্বরে জমে উঠেছে ফুটপাতের কেনাকাটা

বছর ঘুরে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। জমে উঠেছে দেশের ঈদ-বাজার। ২৯ রমজানেও চলছে ঈদের কেনাকাটা। নিজের ও পরিবারের জন্য ঈদকে আনন্দঘন করতে সাধ্যমতো নতুন পোশাক কেনার চেষ্টা সবার। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় চাপ কমছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেট এবং বড় শপিংমলের। চাপ বাড়ছে অলিগলির দোকান ও ফুটপাতে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র চোখে পড়েছে।

দুপুরে গুলশানের নাবিলাসহ বিভিন্ন ব্রান্ডে আউটলেটে ক্রেতাদের স্বাভাবিক উপস্থিতি চোখে পড়েছে। একই অবস্থা মিরপুরের আড়ং, লারিভসহ নানা আউটলেটে। তবে ক্রেতা কমার পাশাপাশি বেচাকেনাও তাদের শেষপর্যায়ে। ক্রেতা যা কয়েকজন আছে, তারাও প্রত্যাশিত ডিজাইন ও সাইজ পাচ্ছেন না।

বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, শেষপর্যায়ে সাইজ ও ডিজাইন মেলানো কঠিন। কারণ অনেক প্রোডাক্ট শেষ হয়ে গেছে।

তবে, মাগরিবের পর মিরপুর ১০ ও আশপাশের এলাকার ফুটপাত জমে উঠেছে কেনাকাটায়। তৈরি পোশাক, জুতাসহ নানান পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসা অস্থায়ী দোকানে উপচেপড়া ভিড়। পাশের মিরপুর স্কয়ার ও শাহ আলী প্লাজায় তুলনামূলক চাপ কম দেখা গেছে।

এ নিয়ে কথা হয় মিজানুর রহমানের এক তরুণের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি কাজ করি একটা ব্যাগের দোকানে। আজ ছুটি দিয়েছে। নিজের ও বাবার জন্য কিছু কেনার চেষ্টা করছি। দাম তো বেশি। আর বড় মার্কেটে তো আমরা যাওয়ারই সাহস করি না। ফুটপাত থেকেই কমে পাই। এখান থেকেই কিনি।

তার সঙ্গে সুর মেলালেন আবু সাঈদ নামে তার আরেক পরিচিতজন। তিনি বলেন, আমরা পাশাপাশি দোকানে কাজ করি। কম টাকায় ভালো কিছু যা পাই, কিনবো। একটা প্যান্টই তো হাজার ১২শ চায়। ফুটপাতে এ অবস্থা হলে মার্কেটে তো আরও বেশি। এজন্যই মার্কেটে যাই না। আর ব্রান্ড তো বড়লোকদের জন্য।

গুলশানের নাবিলার বিক্রয়কর্মী ইকবাল বলেন, এখন তো কাস্টমার কমই থাকবে। আমাদের বেচাকেনা তো অনেকাংশে শেষ। অনেক আইটেম শেষ। আবার কিছু দু-একটা সাইজ আছে, সব কালার নেই। কেউ সাইজ পাল্টাতে আসে, কেউ দেখে সাইজ মিললে নিচ্ছে। শেষপর্যায়ে তো সাইজও দিতে পারছি না।

একই পরিস্থিতি মিরপুরের আড়ং ও লারিভেও। বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, সব প্রোডাক্টসের সাইজ ও কালার এখন অ্যাভেইলেবল নেই। শেষের দিকে বেশিরভাগ।

মিরপুরের শাহ আলী মার্কেটের আরএস ফেব্রিক্সের দোকানি রাজিব বলেন, আমাদের কেনাকাটা আছে ভালোই। তবে, গত দুইদিনের তুলনায় কম। হয়তো কালকে একটু চাপ যাবে। যেহেতু আরও একদিন সময় আছে।

একই মার্কেটের পাঞ্জাবি দোকান কারুজগতের স্বত্বাধিকারী মো. জামান বলেন, আমার বিক্রি বেশ ভালো। তবে গত কয়েকদিন চাপ ছিল। আজকেও চাপ হতো, কিন্তু রোজা ৩০ হওয়ায় এ চাপটা কালকে হয়তো পড়বে।

এসইউজে/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।