গাবতলীতে চাপ নেই, শ্রমিকরা খুঁজছেন যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২৪

ঈদ আসন্ন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এসময়ে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় থাকার কথা ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। তবে সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রীর বাস টার্মিনালটিতে যাত্রীর চাপ চোখে পড়েনি। বেশ কয়েকটি কাউন্টার ছিল বন্ধ। তবে কয়েকটি কাউন্টার জানিয়েছে, তাদের সব টিকিট অগ্রীম বিক্রি হয়ে যাওয়ায় তারা কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করছেন না। যাত্রী পূর্ণ করেই ছাড়ছে বেশিরভাগ বাস।

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বাসগুলোর টিকিট কাউন্টারে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। এখনো যাত্রীর আশায় বসে আছে দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পরিবহনগুলো।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনালে অবস্থান করে দেখা গেছে, যাত্রী এলেই কাউন্টারে থাকা পরিবহন শ্রমিকরা তৎপর হচ্ছেন টিকিট বিক্রিতে। অন্যদিকে টিকিট কিনে ফাঁকা টার্মিনালে বাস ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা।

বরিশালগামী সূর্যমুখী বাসের শ্রমিক জুয়েল জানান, সকাল থেকে সিট ফাঁকা নিয়ে দুটি বাস ছেড়েছে। সাভারের পর যাত্রী পূর্ণ হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের শ্রমিক মোহাম্মদ তুহিন বলেন, এখন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাস কাউন্টার। যাত্রীরা সিএনজি ভাড়া দিয়ে কেন গাবতলী আসবে? এজন্য গাবতলীতে যাত্রী নাই।

সাতক্ষীরা এক্সপ্রেসের কাউন্টারে বসা মাসুদ জানান, সকালে তাদের দুটি গাড়ি ছেড়ে গেছে। বিকেলে আরও কয়েকটি যাবে। অগ্রীম সব টিকিট বিক্রি হওয়ায় কাউন্টার থেকে এবার টিকিট বিক্রি হচ্ছে না।

কুষ্টিয়াগামী রাবেয়া এক্সপ্রেসের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত যাত্রীর চাপ ছিল। সকালে ৮টি বাস ছেড়েছে। প্রতিটি যাত্রীতে পূর্ণ ছিল। এখন ২-১ সিট ফাঁকা রেখে বাস ছাড়তে হচ্ছে।

ঈদ আসন্ন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এসময়ে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় থাকার কথা ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, ট্রেনসহ অনেক কারণেই যাত্রী কমে গেছে। সন্ধ্যার পর কিছু যাত্রী বাড়বে।

যাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহনগুলো নির্ধারিত স্টপেজ অনুযায়ী নয়, ইচ্ছামতো ভাড়া রাখছে।

আরও পড়ুন

পাংশাগামী যাত্রী মিজান বলেন, আমার কাছ থেকে কুষ্টিয়ার ভাড়া রাখা রয়েছে। যদিও আমি যাবো রাজবাড়ীর পাংশা।

টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মালিক প্রতিনিধি ও বিআরটিএর প্রতিনিধি সমন্বয়ে বসেছে ভিজিল্যান্স টিম।

বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাসগুলো চার্ট মেনেই ভাড়া নিচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মিম সুমাইয়া বলেন, যাত্রীর চাপ নেই। ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা ছাড়তে পারছি। ভাড়া নিচ্ছে ৭৫০ টাকা। ঈদে ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে।

এসএম/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।