বান্দরবানে কম্বিং অপারেশন শুরু: সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক , জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চট্টগ্রাম ও বান্দরবান
প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৪
কেএনএফের হামলার পর থানচিতে দোকানপাট-যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে

বান্দরবানের থানচি ও রুমায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে যৌথ বাহিনী।

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে গতকাল রাত থেকে কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়ে গেছে, এরই মধ্যে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।

সেনাপ্রধান বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে কেএনএফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আলোচনা চলছিল। দুটি মুখোমুখি সংলাপও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তৃতীয় বৈঠকের আগেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো।

তিনি বলেন, বমদের সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেতেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনী কেক পাঠিয়েছে। কিন্তু ২ এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো। তাদের মনের ভেতর কী আছে সেটিতো জানা মুশকিল। তবে সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়, কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবে না, কিন্তু সুফল ভোগ করবে।

আরও পড়ুন

এসময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সেনাপ্রধান সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শন করেন।

বান্দরবানের দুই উপজেলায় গত মঙ্গলবার রাতে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী।

পরে গভীর রাতে আলীকদম উপজেলায় পুলিশ ও সেনাদের একটি যৌথ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা পুলিশ ও স্থানীয়দের।

এদিকে কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা ও থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি উপজেলাবাসীদের। তাণ্ডবের ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে মোট আটটি মামলা হলো। তার মধ্যে রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা ও থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি উপজেলাবাসীদের। তাণ্ডবের ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে মোট আটটি মামলা হলো। তার মধ্যে রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এছাড়া ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা-থানচি ও রোয়াংছড়ির সোনালী-কৃষি ব্যাংকের সব লেনদেন বন্ধ রয়েছে। এই তিন উপজেলার গ্রাহকরা বান্দরবান সদর শাখায় লেনদেন করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন সোনালী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম।

এএজেড/নয়ন চক্রবর্তী/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।