জলবায়ু অভিযোজনে বছরে ব্যয় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু অভিযোজন কর্মকাণ্ডের জন্য সরকার প্রতি বছর ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বছরে ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। তাই অতিরিক্ত অর্থ আমাদের সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যুক্তরাজ্য সরকারের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন অফিস (FCDO) এর প্রকৃতিভিত্তিক অভিযোজন প্রতি সমৃদ্ধ ও দক্ষ জীবনধারা এবং জীবিকা বাংলাদেশ (NABAPALLAB) প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী জানান, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং পাখি ও মাছের প্রজননক্ষেত্র হাকালুকি হাওরের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রক্ষায় কাজ করা হবে। আয় বৃদ্ধির কৌশল এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি এই এলাকাগুলোতে চ্যালেঞ্জ কমাতে আশেপাশের সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রদায়গুলোকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া, সম্পদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নীতকরণ এবং লবণসহনশীল ফসল এবং জলবায়ু-প্রতিরোধীর মতো সমাধানগুলি চালু করার ক্ষেত্রে জড়িত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, কেয়ার এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক রমেশ সিং; প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এবং নবপল্লবের চিফ অব পার্টি সেলিনা শেলী খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দাতা সংস্থা প্রতিনিধি, অতিথি এবং বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় কর্মরত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএএস/এমকেআর