শত কোটি টাকা পাচার
ন্যাশনাল ব্যাংকের রন হক-রিক হকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৮৭ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় শত কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক দুই পরিচালক রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার এবং ব্যাংকের সাবেক দুই এমডিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৩১ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রথম মামলার আসামিরা হলেন- সিকদার রিয়েল এস্টেটের মালিক রিক হক সিকদার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ, সাবেক সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল।
ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার বা ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা (২০১৭ সালের হিসাবে) আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধি-বহির্ভূতভাবে ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের অতিরিক্ত ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার বা ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ হতে বিদেশে অর্থপাচার করে। পাচারকৃত অর্থ হস্তান্তর/স্থানান্তর, রূপান্তর গোপনকরণের মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করেছেন।
অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলার আসামিরা হলেন- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক রন হক সিকদার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ ও সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল।
এই মামলায় মোট ৫০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে নিজেরা লাভবান হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধি-বহির্ভূতভাবে ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের অতিরিক্ত ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ মার্কিন ডলার ৫০ কোটি টাকা বিদেশে ব্যয় করে পরে বাংলাদেশ হতে বিদেশে অর্থপাচার করে এবং পাচারকৃত অর্থ হস্তান্তর/স্থানান্তর, রূপান্তর ও গোপন করার চেষ্টা করেছেন আসামিরা।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিরা আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, থাইল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, চীন, ভিয়েনা, ব্রিটেন, রাশিয়া এসব দেশে অর্থপাচার করেছেন বলে দুদক সূত্রে জানা যায়।
এসএম/ইএ/এমএস