বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতি-গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র, যা সমতা ও সমঅধিকারকে উদ্বুদ্ধ করে। সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) অপরাহ্নে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ‘প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস' শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতেই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এই দিন আমরা ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীনতার ৫৩তম বর্ষ উদযাপন করছি। এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
স্পিকার বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তোলাই রাষ্ট্রের লক্ষ্য যেখানে সবার জন্য সমতা, আইনের শাসন, মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সুরক্ষিত থাকবে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, সবার সমঅধিকার ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারের বিষয়ে উল্লেখ আছে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা, নারীর বিরুদ্ধে সব প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনসহ সমস্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বৈষম্যবিরোধী আইন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
স্পিকার আরও বলেন, বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী একটি বিল প্রক্রিয়াধীন। বিলটি সমাজের সবক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য বন্ধ করতে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে। খসড়া বিলটি সংসদে এলে তা সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের পর মূল রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপিত হলে তা আইনে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, সবাইকে মৌলিক মানবাধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে, সমান অধিকারকে সমুন্নত রাখতে হবে, আইনের সমান সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
এসময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে শফিকুল ইসলাম এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, নীলুফার আনজুম এমপি, মো. মুজিবুল হক এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
আইএইচআর/এসএনআর/এএসএম