আইজিপি
চাকরির মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন পুলিশ সদস্যরা
১৯৭১ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ব্যারাক ছেড়ে, চাকরির মায়া ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী চেয়েছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আক্রমণ করে পুলিশের অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ন্ত্রণে নিতে। তাদের প্রথম আক্রমণ রুখে দিয়েছিল বাঙালি পুলিশ। রাজারবাগের পুলিশ সদস্যরা নিজের জীবন বাজি রেখে এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য টানা ছয় ঘণ্টা যুদ্ধ করেছিলেন। নিজের জীবন বিসর্জনেও পুলিশ সদস্যরা কুণ্ঠিত হননি।
তিনি বলেন, সেদিন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা ও রাজারবাগে হামলা করে। এ দেশের মানুষকে হত্যা, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে এবং আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে চিরতরে স্তব্ধ করার মূল পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানী বাহিনীর। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে যে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেই নির্দেশনা থেকে দেশের সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করে।
পুলিশের ওপর আক্রমণ করেও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের শেষ রক্ষা করতে পারেনি উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ব্যারাক ছেড়ে, চাকরির মায়া ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে পুলিশ বাহিনী দেশের স্বাধীনতার জন্য যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তেমন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে যে কোনো সংকটে ও দুর্যোগে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী।
টিটি/জেডএইচ/