কড়াইল বস্তিতে আগুন
খোলা আকাশের নিচে আশ্রয়হারা শত শত মানুষ
বাসা-বাড়িতে কাজ করেন রাবেয়া বেগম। কাজ শেষে তিনি ঘরে ফিরছিলেন। তবে তিনি বাসা পর্যন্ত যাওয়ার আগেই আগুন আগুন বলে মানুষের চিৎকার শুনতে পান। মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনেই পুড়ে যায় রাবেয়া বেগমের থাকার ঘর।
রোববার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুড়ে যাওয়া ঘরের সামনেই জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় রাবেয়া বেগমের। তিনি বলেন, আজরাত এ খোলা আকাশের নিচেই থাকতে হবে। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। রাবেয়া বেগমের মতো আজ খোলা আকাশের নিচে থাকবেন আশ্রয়হারা শত শত মানুষ।
আরও পড়ুন
- আগুনে পোড়া ঘরের ওপর বসে কাঁদছেন বাসিন্দারা
- ৫ টাকার মোমবাতি ২০ টাকায় বিক্রি, দোকানির ওপর চড়াও এলাকাবাসী
আগেও এ বস্তিতে আগুন লেগেছিল, সে সময়ের স্মৃতিচারণ করে রাবেয়া বেগম বলেন, আগেরবারের আগুনে কিছু মালামাল বের করার সুযোগ পেয়েছিল মানুষ। এবারের আগুনে তাও পায়নি। আল্লাহর রহমতে মানুষ বেরিয়ে আসতে পারছে।
তিনি বলেন, একেবারে হঠাৎ করেই আগুন লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে তা ছড়িয়ে গেছে পুরো বস্তিতে। আল্লাহ রহম করেছে আগুন লাগার পরপরই বৃষ্টির এসেছে।সেই সময় বৃষ্টি না এলে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো। এসময় রাবেয়া বেগমের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অনেকে বলেন, রহমতের বৃষ্টির সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও অনেক পরিশ্রম করেছেন। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমেছে।
বস্তিবাসী বলেন, আমরা এখানে যারাই আছি, সবাই কোথাও না কোথাও কাজ করি। কেউ বাসা-বাড়িতে, কেউ পোশাক কারখানায়, কেউ মেসে। বিকেলের এসময়টাতে কেউই বাসায় ছিলেন না। যারাও ছিলেন জীবন বাঁচাতে এককাপড়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন
- কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
- ‘এক কাপড়ে দাঁড়ায়ে আছি, ক্যামনে বাঁচমু’
- ‘নেতারা জোর করে ঘর তুলে ভাড়া দেয়, গ্যাসের লাইনও ঠিক করে না’
রোববার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই বস্তির অনেক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এএএম/এমএএইচ/