গাবতলীতে যাত্রী কম, ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৪

দেশের অন্যতম বৃহৎ বাস টার্মিনাল হচ্ছে রাজধানীর গাবতলী টার্মিনাল। তবে, আগের মতো সেই ব্যস্ততা নেই এ টার্মিনালে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সময়ের ব্যবধানে কমেছে যাত্রীর সংখ্যা। আর যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মতে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর গাবতলী টার্মিনালে যাত্রী কমেছে। বিভিন্ন বাস কোম্পানির টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলে নেই টিকিট বিক্রির ব্যস্ততা। অলস সময় কাটাচ্ছেন কাউন্টার কর্মীরা। এখানে আগের মতো রমরমা ব্যবসা নেই।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায়, টার্মিনালের আশপাশে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিক্রি একেবারেই কম। অনেক দোকানিকে বসে মোবাইল স্ক্রল করতে দেখা গেছে।

গাবতলীতে যাত্রী কম, ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের মতো আর যাত্রী আসে না গাবতলী টার্মিনালে। একসময় ভালো ব্যবসা হলেও এখন ক্রেতা সংকটে টিকে থাকা দায়। তাছাড়া শুক্রবার থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও টার্মিনালে এর কোনো প্রভাব নেই। এ জন্য ব্যবসা টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য।

দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এ এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করছে মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। অন্য সময়ের তুলনায় ঈদে বাড়তি বিক্রি হতো। এখন সেটিও হচ্ছে না। পারলে ব্যবসা ছেড়ে দিতাম। সেটাও সম্ভব না কারণ বয়স হয়ে গেছে, অন্য কাজ করতে পারবো না। যাত্রীই তো নেই ব্যবসা হবে কীভাবে। সকাল থেকে ৭০০/৮০০ টাকার মতো বিক্রি হইছে।

গাবতলীতে যাত্রী কম, ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

আরেক কাপড় ব্যবসায়ী সামাদ বলেন, কেনাবেচা নেই। কাউন্টারে যাত্রী কম হইলে কিনবো কেডা! খুবই ঝামেলায় আছি।

দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করেন নাজির। তিনি বলেন, আগে অনেক বিক্রি হইতো। এহন হয় না। দেখতেছেন না টার্মিনালে লোক নেই।

শিগগির যাত্রী সংখ্যা বাড়বে প্রত্যাশা করে এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০ রমজানের পরে লোকজন বাড়ি যাওয়া শুরু করবে। আশা করছি, তখন বেচাকেনা বাড়বে।

এনএস/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।