সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট যেন এক টুকরো ইফতার বাজার
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিদিন জমে ওঠে ইফতার আর পরিচিতজনদের আড্ডা। উদ্যানকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটে নানা রকম ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। এ যেন এক টুকরো ইফতার বাজার।
শুক্রবার (২২ মার্চ) ইফতারের আগ মুহূর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঢাবি গেট এলাকায় দেখা যায়, নানা ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এরমধ্যে রয়েছে ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, ডিম চপ, ডাল বড়া, কাবাব, ফুচকা, পুরি, জিলাপি ইত্যাদি।
বিক্রেতারা বলছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনেকেই ইফতার করতে আসেন। তারাই মূলত এসব দোকানের ক্রেতা। বিক্রি নিয়েও বেশ সন্তুষ্ট তারা।
উদ্যানের গেটে ছোলা বিক্রেতা রহিম বলেন, আমার বাসা কেরানীগঞ্জে। প্রতিদিনই এখানে ছোলা বিক্রি করি। বাসা থেকে সব রান্না করে নিয়ে আসি। ভালো বিক্রি হয়।
আরেক ইফতার বিক্রেতা জামাল বলেন, আমার দোকানে চপ, পেঁয়াজু, ডাল বড়াসহ মোটামুটি অনেক আইটেম বিক্রি করি। বিকেল থেকে কাস্টমার আসতে থাকে। দিনে ৮-১০ হাজার টাকার ইফতার বিক্রি হয়।
উদ্যানের এই গেট দিয়ে সামনে এগোলেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রশস্ত মাঠ। ইফতারের আগ মুহূর্তে পুরো মাঠেই ইফতারের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় অনেককেই। অনেকেই বন্ধুদের নিয়ে বা পরিচিতজনরা একসঙ্গ ইফতার করতে আসেন।
এরমধ্যে কথা হয় দিদারুল আলমের সঙ্গে। অনার্স পড়ুয়া বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে এসেছেন তিনি। জাগো নিউজকে দিদারুল বলেন, উদ্যানের পরিবেশ বেশ ভালো। খোলামেলা জায়গায় বন্ধুরা মিলে ইফতার করতে এসেছি। আর পাশেই অনেক ধরনের ইফতার আইটেম পাওয়া যায়।
আরেক যুবক শিবলী বলেন, অনেকদিন পর ঢাকায় আসলাম। বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বেছে নিয়েছি। প্রাকৃতিক পরিবেশে ইফতার করে বেশ ভালো লাগছে।
এনএস/জেডএইচ/এএসএম