খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ মন্ত্রী-মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৪
রাজউকের খাল পরিষ্কার পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র

রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে রাজউকের একটি খাল পরিষ্কার ও মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল নয়টা থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময় মশা নিধনে খাল (লেক) পরিষ্কার কর্মসূচি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। একই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞাসহ ঢাকা উত্তর সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিন্তু কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালীন মন্ত্রী, মেয়র, অন্য অতিথিসহ উপস্থিত সবাই মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।

খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ মন্ত্রী-মেয়র

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক লাইভ ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ওই ভিডিওতে মন্ত্রী, মেয়রসহ অন্যদের হাত দিয়ে মশা তাড়াতে দেখা যায়। কেউ কেউ মশায় কামড় দেওয়া স্থানে হাত দিয়ে চুলকাচ্ছিলেন। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা।

এসময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনগুলোর সক্ষমতা পর্যালোচনা করে যেখানে যতটুকু দরকার মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে।

খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ মন্ত্রী-মেয়র

এডিস মশা নির্মূলে জনপ্রতিনিধি এবং জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নিজের বসতবাড়ি এবং এলাকা পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমাদের সবার। সবাই নিজের দায়িত্ব পালন করলে প্রাণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো।’

পরে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কিউলেক্স মশা নিধনে আমরা খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। উত্তরার রাজউক খালে প্রচুর কচুরিপানা, যে কারণে উত্তরা এলাকায় কিউলেক্স মশা ব্যাপক বেড়ে গেছে। এই খালের মালিকানা রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। আজ এসে জানতে পারলাম এটিতে ওয়াসারও মালিকানা আছে। আমি অনেকবার বলেছি খালটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করার জন্য। কিন্তু এখনো খাল হস্তান্তর করা হয়নি। এ এলাকায় নিয়মিত ওষুধ ছিটালেও খালের কচুরিপানা থেকে প্রচুর মশা জন্মায়। স্থায়ী সমাধানের জন্য খাল পরিষ্কারের কোনো বিকল্প নেই। এই খাল ডিএনসিসির না হওয়া সত্ত্বেও মশা নিধনের লক্ষ্যে আমরা পরিষ্কার করছি।’

এমএমএ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।